ছেন। ইনি পৃথিবীর নানারাজ্য পরিভ্রমণ করিয়া প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জ্জন করিয়াছেন।
এডমিরাল টোগো, ইংরাজেরা ইহাঁকে জাপানের নেলসন বলিয়া অভিহিত করিয়া থাকে। গত মহাযুদ্ধে ইহাঁর জলযুদ্ধকৌশল দর্শন করিয়া সমগ্র সভ্যজগৎ বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইয়াছে। ইহাঁর সংকল্প স্থির ও অধ্যবসায় অসাধারণ। মন্ত্রগুপ্তিতে পৃথিবীর কোন সেনাপতিই ইহাঁর সমকক্ষ নহেন। এডমিরাল মহোদয় কোন সময়েই অধিক কথা কহিতে ভাল বাসেন না। ইহাঁর গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলে, তাহা নিতান্ত দীনব্যক্তির কুটীর বলিয়া অনুভব হয়। সম্প্রতি রাজ-চিত্রকর মরূকী জাপানের নানাস্থানে ইহাঁর ছায়াচিত্র বিক্রয় করিতে আরম্ভ করায়, ইনি নিতান্ত দুঃখিত হইয়াছিলেন। ইহাঁর পুত্র ও কন্যাগণও সর্ব্বাংশে পিতৃগুণবিশিষ্ট। এডমিরাল মহোদয় অল্পকাল মধ্যেই ইংলণ্ডে গমন করিবেন বলিয়া সমগ্র ইয়ুরােপ ব্যাপিয়া হুলস্থুল পড়িয়া গিয়াছে। ইনি এক্ষণে জাপানের প্রধান নৌসেনাপতিপদে অবস্থিত রহিয়াছেন।
এডমিরাল ক্যামিমুরা, জাপানের দ্বিতীয় নৌসেনাপতি। গত মহাযুদ্ধে ইনি ভ্যালাডিবােষ্টক বন্দর অবরূদ্ধ করিয়া ছিলেন।
ভাইস এডমিরাল কটাক্ষ, জাপানের নৌসেনাপতি। ইহাঁরই বুদ্ধিকৌশলে অতি অল্প সময় মধ্যে রুষাধিকৃত সাগালিয়ন জাপান সৈন্যের হস্তগত হয়।
ব্যারণ শিবসহা, ইনি জাপান সাম্রাজ্যের কুবের বলিয়া পরিচিত। ইহাঁর মূলধন শতকোটী মুদ্রার অধিক হইবে।