পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তাহার উৎপত্তি। সমগ্র ভস্ম তদপেক্ষা গুরু। সুতরাং মায়ণকালে বঙ্গ হইতে কোন উপাদান দূরীভূত না হইয়া বরং বাহির হইতে অন্য কোন নুতন পদার্থ বঙ্গের সহিত আসিয়া যুক্ত হইয়া থাকে। (২৩ পৃষ্ঠা ফ্লজিষ্টম বাদ দেখুন।) কিছু দিন পরে লাবােয়াসিয়ে পারদ ভন্ম লইয়া প্রীষ্টলির পরীক্ষার সত্য। অবধারণ করিলেন। তিনিও দেখিলেন যে লােহিতবর্ণ পারদ ভস্ম হইতে এক প্রকার বায়ু নির্গত হয়, তাহাতে নির্বাণ প্রায় শুষ্ক কাষ্ঠ, বৰ্ত্তিকা প্রভৃতি দ্রব্য পুনরুদ্দীপ্ত হইয়া অতি উজ্জ্বলরূপে দগ্ধ হয়। লাবােয়াসিয়ে অসাধারণ প্রতিভা সম্পন্ন লােক ছিলেন। প্রক্রিয়া হইতে তিনি যে সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন তাহা উপ- রােক্ত পরীক্ষা দ্বারা দৃঢ়মূল হইল। ইহার পর তিনি আর একটা পরীক্ষা করেন। একটী বকষন্ত্রে কিছু পারদ ন্যস্ত করিয়া বকযন্ত্রের গলদেশ অপর একটা পাত্র- স্থিত পারদে ডুবাই- লেন। তৎপরে এক পক্ষ কাল বক যন্ত্রস্থ পারদে উত্তাপপ্রয়ােগ করিতে লাগিলেন। জুমশঃ দেখিলেন যে পারদের উপর এক প্রকার রক্তবর্ণ স্তর ক, বকযন্ত্র ; খ, বায়ুপূর্ণঘণ্টাকৃতি পাত্র ; গ, পারদের পড়িতেছে। তিনি গধার। আরও দেখিলেন যে অপর পাত্রস্থিত পারদও ক্রমশঃ খ পাত্রের ভিতর উঠিতেছে। ইহার কারণ এই যে বকযন্ত্রের মধ্যস্থিত বায়ুর