পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব্য ৰসায়নী বিদ্যা পদার্থ (solid product) উৎপন্ন হয়। কিন্তু যদি অঙ্গার কিম্বা গন্ধক দগ্ধ করা যায় তাহা হইলে বায়বীয় (gaseous) পদার্থের সৃষ্টি হয় । অঙ্গার ও গন্ধকের দহনে উৎপন্ন উভয় বায়ুই জলে দ্রবীভূত হয় এবং এই জলের অম্ল আস্বাদ ঘটে এই কারণে বাতাসের এই উপাদানকে লাবােয়া- সিয়ে অম্লজান নামে অভিহিত করিয়াছিলেন। পরে দেখা যাইবে সােডি- য়ম (sodium) পােটাসিয়ম (potassium) প্রভৃতি ধাতু অজানের সহিত সংযুক্ত হইলে যে পদার্থ উৎপন্ন হয় তাহার আস্বাদ অম্ন হওয়া দুরে থাকুক বরং ক্ষারের সুতরাং বাতাসের এই উপাদানের ‘অম্লজান’ নামকরণ ঠিক হয় নাই। মত। বায়ুর স্বরূপ সম্বন্ধে আপাততঃ এই পৰ্য্যন্ত বলিয় লৌহ রঙ্গ প্রভৃতি ধাতু সম্বন্ধে আলোচনা করা যাক। পূৰ্বে বলা গিয়াছে, বহুকাল হইতে একটা অমুলক ধারণা চলিয়া আসিতেছে যে ধাতু যৌগিক পদার্থ অর্থাৎ “বায়ু, ক্ষিতি ইত্যাদি ভূত সমবায়ে উৎপন্ন। প্রায় দুই শত বৎসর হইল রসায়নবেত্তাগণ দেখিয়াছিলেন যে লৌহ গন্ধদ্রাবকের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হইলে উভয়ের সংযােগে একপ্রকার বায়ু নির্গত হয়। এই কারণে ধাতু সম্বন্ধে উক্ত ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়। অর্থাৎ লৌহ পঞ্চভূতসমষ্টি এবং তাহারই একটা ভূত উক্ত প্রক্রিয়া দ্বারা লৌহ হইতে বায়ুরূপে পরি- ত্যক্ত হয়। গন্ধদ্রাবক পরিবর্তে লবণাবকও ব্যবহৃত হইতে পারে। এই বায়ু কোন উপযুক্ত পাত্রে সংগ্রহ করিয়া তাহাতে অগ্নি প্রদান করিলে দেখা যায় যে ইহা অলিতে থাকে। এই কারণে উক্ত বায়ুকে ‘দাহ্য বায়ু” ( inflammable air) নাম দেওয়া হইয়াছিল। বর্তমানে উহার নাম উদজান বা হাইড্রোজেন ('hydrogen ) 1