পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ও তাহার উৎপত্তি তাহাদের গ্রন্থেও.ইহাব আভাস পাওয়া যায় কিন্তু তাহাদের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিশেষ আলােচনা বা বিকাশ হয় নাই। সুতরাং লাবােয়াসিয়েকেই এই সিদ্ধান্তের প্রকৃত প্রচারকর্তা এবং নব্য রসায়নের জন্মদাতা স্বীকার করিতে হইবে। ১৭৯৪ খৃঃ অব্দে ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লবের সময় এই মনস্বী ব্যক্তি গিলােটিন নামক বধযন্ত্রে প্রাণ হারান। বড়ই দুঃখের বিষয় যে বিপ্লবকারিগণ নব্য রসায়নের জন্মদাতা এই মহা পুরুষেরও প্রাণ দণ্ড না করিয়া ক্ষান্ত হয় নাই। বিচারপতি কফিনলের নিকট যখন আবেদন হইল যে অন্ততঃ সুপ্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক বলিয়া বােয়াসিয়ের প্রাণ ভিক্ষা দেওয়া হউক তখন তিনি পিশাচের ন্যাশ কর্কশভাবে উত্তর দিয়াছিলেন যে পণ্ডিত বলিয়া উহার বিচারকালে ন্যায়ের অপলাপ হইতে পারে না। প্রচলিত সাধারণতন্ত্রের জন্য পণ্ডিত বা বৈজ্ঞানিকের কোন প্রয়োজন নাই। দ্বিতীয় অধ্যায়ের পরিশিষ্ট ধাতুর মারণ ও পূনর্জীবিত করণ—১৯ পৃঃ দ্রষ্টব্য। ধাতু মারিত হইলে ইহার ধাতব গুণ—অর্থাৎ ভাস্করতা, কাঠিন্য, নমনীয়তা প্রভৃতি অন্তর্হিত হয়; মারিত ধাতু সামান্য হাতুড়ির আঘাত পাইলেই গুড়া হইয়া যায়। মারিত ধাতুকে আবার পুনর্জীবিত করিতে হইলে তৈল, ঘৃত, লাক্ষা ও সােহাগার সহিত মিশ্রিত করিয়া মুষার মধ্যে পরিয়া মুখ বন্ধ করিতে হইবে এবং অগ্নিতে :