পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন্য রসায়নী বিদ্যা রাখিয়া ক্রমান্বয়ে উত্তাপ প্রয়ােগ করিতে হইবে। শীতল হইলে মুখার মুখ খুলিলে দেখা যাইবে যে মারিত ধাতু পুনৰ্ব্বার ধাতু রূপে পরিণত অর্থাৎ স্বধর্ম প্রাপ্ত হইয়াছে। তৈল, ঘৃত, লাক্ষা প্রভৃতি পদার্থের প্রধান উপাদান অঙ্গার ; আবদ্ধ অবস্থায় উত্তাপ পাইলে উহার অজারে পরিণত হয়। পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে যে কোন মূল ধাতু অম্লজান বায়ু সহিত মিলিত হইলে যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন হয়, তাহাই মারিত বা দগ্ধ ধাতু অর্থাৎ মূল ধাতু+ অম্লজান =দগ্ধ ধাতু । এখন স্পষ্ট বােঝা যাইবে যে উত্তাপ সহকারে অঙ্গার দগ্ধ বা মারিত ধাতু হইতে অম্ল- কান অপসারিত করিয়া স্বয়ং অঙ্গারা বায়ু রূপে ( কার্বনিক এসিড গ্যাস) পরিণত হয় এবং ধাতুও পুনৰ্ব্বার স্বগুণ প্রাপ্ত অর্থাৎ পুনর্জীবিত বা উত্থাপিত হয়।* দগ্ধ ধাতু (মূল ধাতু+অম্লজান)+অঙ্গার=-মূল ধাতু (পুনর্জীবিত )+ অঙ্গারা ( অঙ্গার+ অম্লজান)। এস্থলে ইহাও স্মরণ রাখা উচিত যে মারিত ধাতু এই শব্দ যে কেবল দগ্ধ ধাতু বা অম্লজানযুক্ত ধাতুর উপর প্রয়ােগ হয় তা নয়। অনেক সময় গন্ধকের সহিত মিশ্রিত করিয়া ধাতুকে উত্তপ্ত করা হয়। তান্ত্রিক মতে প্রস্তুত তাম্র ও পারদ ঘটিত ঔষধ প্রায়ই গন্ধকিত বা গন্ধক যুক্ত (sulphide)। এবং উহাতে অমজানের অভাব দৃষ্ট হয়। -:0:- মৃতস্য পুনরুতি এতোখাপাধ্যয়। ইতি রসরত্নসমুচ্চয়। .