পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৪
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৩৪

ও তাহার উৎপত্তি। রসে- শীতে অতিরিক্ত গন্ধক অসংযুক্ত ভাবে বর্তমান থাকে। কলী আবার “পাক” করিলে হিঙ্গুলে পরিণত হয়। কজ্জলী কৃষ্ণবর্ণ চূর্ণ, কিন্তু হিল “দানাদার" বিশেষ। প্রক্রিয়া বিশেষে উহার দানা- ওলি বাস্তবিক তালের চোচের ন্যায় পাওয়া যায় এই জন্য “ভালচেঁচ” হিজুল বলিয়া সাধারণত: পরিচিত। এখন একবার স্বর্ণ সিন্দুর ও মকরধ্বজ প্রস্তুত প্রণালী সম্বন্ধে আলােচনা করা যাক। চিন্তামণি নামক প্রাচীন ও প্রামাণিক তান্ত্রিক গ্রন্থে কথিত আছে “নধিত মৃদু সােণারপাত ১ পল, শশাধিত পারদ ৮ পল একত্র মর্দন পূৰ্ব্বক, তাহার সহিত শশাধিত গন্ধক ১৬ পল মিশ্রিত করিয়া কজ্জ্বল তদনন্তর রক্তকার্পাসপুষ্প ও দুতকুমারীর রসে ভাবনা দাও এবং শুষ্ক করিয়া দৃঢ় কাচকৃপার মধ্যে ভর। পরে কুপীর মুখ এক খণ্ড খড়ীর দ্বারা রুদ্ধ কর এবং সেই কূপী একটা হাড়ির ভিতর রাখি। হাড়িকে বালুকাদ্বারা এরূপ পূর্ণ কর যে, কূপীর গলা পর্ষন্ত পূর্ণ হয়। পরে ৩ দিন জ্বাল দাও। জাল দিতে দিতে যখন রক্তবর্ণ ঔষধ কৃপীর গলায় লাগিবে, তখন তাহা বহিষ্কৃত করিয়া লও।* কাচকুপীর পরিবর্তে সচরাচর তেল ব্যবহৃত হয়। যােতলটি সর্বাগ্রে পাচবার পুরু’ কাপড় ও কাদার প্রলেপ দিয়া শুকাইয়া নওয়া হয় তাহা হইলে আর ফেটে চোটে যায় না। এই প্রক্রিয়া সম্যকরূপ বুঝিতে হইলে বাহিরের ২৪টা দৃষ্টান্ত লইয়া একটু অন্য আলােচনা করা প্রয়ােজন। দুই বা ততোধিক পদার্থ একত্ৰ থাকিলে

  • পলং মৃদুস্বর্ণদলং রসেং পলাষ্টকং ষোড়শ গন্ধস্য।

শােণৈঃ সুকাপাসভবনে, সর্বং বিমদাথ কুমারিকান্তিঃ। তৎকাচকুন্তে নিহিতং গঢ়ে মৃৎপটৈবিলয়। পচেৎ ক্রমাগ্নেী সিতাখ্যযন্ত্রে ততোৱ পল্লবগম। -সেন্ট্রচিন্তামণি।