পাতা:নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি - প্রফুল্লচন্দ্র রায়.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৭৭
নব্য রাসায়নী বিদ্যা ও তাহার উৎপত্তি
৭৭

ও তাহার উৎপত্তি । এব মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে যে সমস্ত প্রেকৃত্য অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে, তাহা ব্রাহ্মণদিগের উপজীবিকা মাত্র, বস্তুতঃ কোন ফলােপধায়ক নহে।” (সর্বদর্শনসংগ্ৰহ--জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননকৃত অনুবাদ)। সেই সময়ে স্বাধীন চিন্তা কতদূব উচ্চ শিখরে আরােহণ করিয়াছিল তাহা চার্বাক দর্শন আলােচনা করিলেই বুঝা যায়। তার পর বৌদ্ধ ধর্মের প্রাদুর্ভাবে সাম্য, মৈত্রী ও বিশ্বজনীন ভ্ৰাতৃভাৰ ভারতের সর্বত্র ঘােষিত হইল। তাহার ফলে জ্ঞানােন্নতির পথ সর্বসাধারণের পক্ষে উন্মুক্ত হওয়ায় সর্ব শাস্ত্রের সম্যক আলোচনা আরম্ভ হইয়াছিল। বিশেষতঃ বৌদ্ধগণ রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের যথেষ্ট উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন। এক নাগার্জনের নাম করিলেই যথেষ্ট হইবে। ইনি সুশ্রত তন্ত্র পরিবর্ধিত ও নূতন আকারে প্রণয়ন করিয়াছিলেন বলিয়া প্রবাদ আছে। বাস্তবিক সুশ্রুতে বৌদ্ধ মতের ভূরি ভূরি প্রমাণ পাওয়া যায়। ইহাতে শবব্যবচ্ছেদের সুন্দর নিয়মাবলী এবং প্রমাণ ব্যতীত কিছুই গ্রহণ করিবে না এমন উপদেশ দৃষ্ট হয়। অষ্টাঙ্গহৃদয়-প্রণেতা বাগভট ও বৌদ্ধ ছিলেন; পাছে হিন্দুরা তঁাহার মত অগ্রাহ করেন এই বুঝিয়া স্থানে স্থানে শ্লেষ বা ব্যঙ্গলে বলিয়াছেন, যদি ঋষি প্ৰণীত বলিয়াই গ্রন্থবিশেষ শ্রদ্ধেয় হয়, তবে কেবল চরক ও সুশ্রুত অধীত হয় কেন ? ভেল প্রভৃতি আয়ুর্বেদীয় তন্ত্র এক- প্রকার বৰ্জিত হইয়াছে কেন ? অতএব, কেবল গ্রন্থনিবিষ্ট বিষয়- গুলির প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া সেই গ্রন্থের সারত্ব সম্বন্ধে বিচার করা উচিত। পরবর্তী হলে অাবার বলিতেছেন—“ঔষধের গুণ লইয়াই যখন কথা, ব্ৰহ্মা স্বয়ং প্রয়োগ করুন বা অপর কেহ প্রয়ােগ করুন তাহাতে ক্ষতি নাই”। প্রত্যক্ষ