পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) এবং সমাজসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বর্তমান কালের গতি কোন পথে চলিতেছে তাহা বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছেন । এই সময়কার আর একখানি পুস্তক ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ও ইতালিয়ান নজির অবলম্বনে একালের আস্তর্জাতিক লেনদেন সম্বন্ধে লিখিত । পুস্তক খানির নাম “দুনিয়ার আবহাওয়া” ( ৩২• পৃষ্ঠা, ১৯২৬)। নবীন রুশিয়ার জীবন প্রভাত” নামক একখানা গ্রন্থ ও প্রবন্ধের আকারে পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়া গিয়াছে । ইহাতে বোলশেভিক বিপ্লবের তের চৌদ্দ বৎসর পূৰ্ব্বেকার কথা আলোচিত হইয়াছে। এই দুইখানা বই অবগু ভ্রমণ বৃত্তান্তের সামিল নয়। এই বারখানা বইয়ের মোট পুষ্ঠা সংখ্যা ৪• • • এর কিছু উপর। বর্তমান জগৎ” গ্রন্থাবলী সভ্যতাবিজ্ঞানের এক বিশ্বকোষ বিশেষ । চীনা সভ্যতা ও যুবক ভারত আরও পচখানা বাংলা বই বিদেশে প্রবাস কালেরই রচনা , সেই সবও ভ্রমণ-কাহিনীর অন্তর্গত নয় । একখানার নাম “চীনা সভ্যতার অ, আ, ক, খ" (২৫০ পৃষ্ঠা)। এই বইখানি ১৯২৩ সনে ছাপান হওয়াছে । প্রাচীন চীনের সভ্যতা সম্বন্ধে বাঙ্গালীর লেখা বই বোধহয় এই প্রথম । এই বইয়ের আলোচ্য বস্তু তাহারই প্রণীত “বর্তমানযুগে চীন সাম্রাজ্য” হইতে সম্পূর্ণ রূপেই পৃথক। “চীনা সভ্যতার অ, আ, ক, খ” ভারতপৰ্য্যটক যুয়ানচুমা-ঙের নামে উৎসর্গ করা হইয়াছে। আর “বর্তমানযুগে চীন সাম্রাজ্য” কাঙ-য়ু-ওয়ে ও লিয়াঙ-চি-চাঁও এই দুইজন আধুনিক চীন-নায়কের নামে উৎসর্গীকৃত । চীনের বহু পল্লীতে এবং নানা সহরে বিনয়বাৰু মোটের উপর এক বৎসর ( ১৯১৫-১৯১৬) কাটাইয়াছিলেন । বৰ্ত্তমান এবং প্রাচীন