পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোন্নতি \כס সহিওয়ালা চিরকুট লইয়া অন্য এক ব্যাঙ্কের নিকট হইতে নগদ টাকা পাইতে পারে । এই দ্বিতীয় ব্যাঙ্ক “ডিস্কাউণ্ট” করিল,—প্রথম ব্যাঙ্কট করিয়াছে মাত্র “অ্যাকসেপ্ট” অর্থাৎ স্বীকার, গ্রহণ বা বিশ্বাস । নগদ টাকা দিল দ্বিতীয় ব্যাঙ্ক প্রথম ব্যাঙ্কের ঝুঁকিতে। যদি যদুর অবস্থা কাহিল হয়, তাহা হইলে স্বীকারকারী প্রথম ব্যাঙ্কের ঘাড় ভাঙা হইবে । কাজেই “আকৃসেপতাস” ব্যবসাটা গুরুতর রকমের । (১০) চলতি হিসাবে খাতাপত্র রাখা । বাজার হইতে মক্কেলদের জন্য তাহাদের পাওনা টাকা উসুল করা আর মক্কেলদের পক্ষ হইতে তাহাদের দেনা শুধিয়া দেওয়া ব্যাঙ্কের এই শ্রেণীর কাজ । সংখ্যা এবং পরিমাণ হিসাবে এই কাজ খুবই বেশী,—কেননা প্রত্যেক মক্কেলের জন্ত প্রতিদিনই এই ধরণের কাজ কিছু না কিছু সামলাইতে হয়ই হয়। ব্যাঙ্কের খাতায় প্রতিদিনই মক্কেলদের জমাখরচের হিসাব চলিতে থাকে । (১১) নোট ছাড়ার কাজ । যে যে লোককে টাকা দিতে হইবে তাহাদিগকে নগদ টাকা না দিয়া একটা প্রতিজ্ঞাপত্র দেওয়ার নাম নোট জারি করা। আগেকার দিনে একাধিক ব্যাঙ্কের এই ক্ষমতা ছিল। কিন্তু প্রায় সকল দেশেই গবর্ণমেণ্ট এই ব্যবসাটা শেষ পৰ্য্যস্ত কোনো একটা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের একচেটিয়া কারবারে পরিণত করিয়া দিয়াছে। প্রতিজ্ঞাপত্র বা নোট জারি করিবার নিয়ম-কানুন বিলাতে, জাৰ্ম্মাণিতে এবং ফ্রান্সে পুথক পৃথক । বাঙালী এই ব্যবসা একদম জানেই না । আর জানিবার সম্ভাবনাও আমাদের নাই। তবে এখন ভারতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইতে চলিল। এই হিড়িকে দেশের লোকের ভিতর নোট, কাগজী টাকা, নোট-ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্কের প্রতিজ্ঞা-পত্র ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা এবং তর্কপ্রশ্ন স্বরু হইতেছে।