পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন כס\ (১২) সওদাগরি মাল বা মাল চালানের রসিদ বন্ধক রাখিয়া মক্কেলকে টাকা দেওয়া । চাষ আবাদের ফসল সাৰ্ব্বজনিক গোলায় ( "ধৰ্ম্মগোলায়” ) বন্ধক রাখিয়াও ব্যাঙ্ক চাষীদিগকে নগদ টাকা দেয় । (১৩) এই ধরণের তৃতীয় বন্ধকি কারবার হইতেছে জমিজমার বন্ধকে টাকা দেওয়া। সকল প্রকারের বন্ধকি রসিদই অন্যান্য বাণিজ্য-চিরকুটের মতন বাজারে কেনা-বেচা চলে । আর এই কেনা-বেচার কাজও ব্যাঙ্কে করা হয়। এই সকল বিষয়ের চর্চা বাংলাদেশে কিছু কিছু সুরু হইয়াছে। কিন্তু কাজ বেশী দূর অগ্রসর হয় নাই । . o (১৪) রেল-কোম্পানী, শিল্প-কারখানা, বা ঐ জাতীয় কারবারের সঙ্ঘেরা বাজারে টাকা ধার করিতে চাহিলে তাহাদের হইয়া ব্যাঙ্ক ঐ কৰ্জ চায় কিংবা এই সঙ্ঘের “শেয়ার” বেচিবার ভারও ব্যাঙ্কেরা লইয়া ५ों८क । (১৫) বাজারে জনসাধারণের নিকট হইতে “কৰ্জ” না চাহিয়া অথবা জনসাধারণের নিকট “শেয়ার” বেচিবার চেষ্টা না করিয়া ব্যাঙ্কগুলা খোদই কারবারী সজ্যগুলাকে কৰ্জ্জ দেয় এবং তাহদের শেয়ার খরিদ করে। এই সব “এলাহি কারখানা” বাঙালীর পক্ষে সম্প্রতি সুদূর ভবিষ্যতের কথা। ফ্রান্সেও সকল ব্যাঙ্ক এই সব দিকে মাথা খেলাইতে সাহস পায় না। এজন্ত ট্যাকে টাকার জোর থাকা চাই খুবই বেশী । (১৬) ষ্টক-এক্সচেঞ্জে যত রকমের “কাগজ” লইয়া লেনদেন চলে, তাহার ভিতর নাক গুজিয়া রাখাও ব্যাঙ্কের এক বড় কারবার। ষ্টকবাজারের দালালদের সঙ্গে ব্যাঙ্কের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ স্বই হয় । মক্কেলদের জন্ত নানা প্রকার কাগজ কেনা বেচা করিতে করিতে ব্যাঙ্কগুলাকে খানিকট জুয়াড়ি হইয়া পড়িতে হয়। ইহাতে ঝুকির পরিমাণ প্রচুর। বাঙালী ব্যাঙ্কের পক্ষে এই কারবার সম্প্রতি স্বপ্নাতীত ।