পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক গঠন ও দেশোন্নতি VHO পূৰ্ব্ব বনাম পশ্চিম এখন কথা হইতেছে আমাদের আর ওদের তফাৎ কোনখানটায় ? আপনারা হয়ত বলিবেন “ওরা হল পশ্চিমের দেশ, পশ্চিমের লোক, পশ্চিম জাত—ওদের এসব সাজে। আর আমরা হলাম পূবের দেশ, আধ্যাত্মিকতার দেশ। ওরা হল ছোট জাত, নেহাৎ ছোট, ওরা কেবল টক, টাকা, টাকা এই লইয়াই থাকে। আমাদের হইল মুনিঋষির দেশ, আমরা পার্থিব চিন্তাকে ছোট কাজ বলিয়া মনে করি” । আপনাদেরকে পাণ্টা জবাব দিয়া ওরা বলে—“তোর হলি পুবের লোক, সুয়েজের ওধারে ব্যাঙ্ক গড়া সাজে না । তুরস্ক, জাপান, ভারত-এর ব্যাঙ্কের কোনো কদর জানে না ।” এসব শুনিয়া কিন্তু আমাদের লোকেরা চটিয়া লাল । এরা বলেন – “বটে রে ! তোর হলি অতি ছোট জাত, কতকগুলি টাকা জমাইয়াছিস বই তো নয়। টাকাকে যদি ভাল বলিয়া জ্ঞান করিতাম, তবে আমরাও জমাইতে পারিতাম। আমাদের ঠাকুরদাদারাই তো বলিয়া গিয়াছে “অর্থমনৰ্থং” । আমাদের এইটা হইল মুনি-ঋষি-মহাত্মা-সন্ন্যাসী-স্বামীবাবার দেশ। পশ্চিমের জাতগুলোর আমরা হইলাম গুরু । উহাদের শিক্ষার ভার লইবার জন্তইতো আমাদের পয়দা । উহাদেরকে আধ্যাত্মিকতা শিক্ষা দিব আমরা, উহাদের টাকা শেষে আপনাআপনি আমাদের পায়ে আসিয়া লুটাইবে, কেননা আমরা হইতেছি “মাধ্যাত্মিক” ইত্যাদি ইত্যাদি । এই সকল বাক্যের লড়াইয়ে যাহার র্যাহার ইচ্ছা মাতিয়া থাকুন। আমার কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বলিয়। কোনো কথা আমি বিশ্বাস করি না। এই দুই আসলে এক জিনিষ। কেবল