পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্য-দৈব বীমা 8为 আমরা একজনও তাহ পারি না। আপনারা সকলেই জানেন ম্যালেরিয়ায় ভুগে নাই এমন বাঙালী একটিও আছে কিনা সন্দেহ। কাজ করিতে করিতে মাথা ধরে নাই এমন লোক কয়জন আছে জানি না । এক দিন, ছু দিন, না হয় তিন দিন,—চতুর্থ দিন মাথা ধরিবেই ধরিবে । ব্যাধি একটা কিছু অাছেই আছে। এসব কথা গভীরভাবে ভাবা ও বুঝা দরকার। জাতিহিসাবে আমাদের কৰ্ম্মদক্ষতা আছে কিনা বুঝা দরকার। দুঃখ-নিবারণের সেকেলে দাওয়াই মানুষ হইয়া জন্মগ্রহণ করিলে বুড়ো হইতেই হইবে । তেমনি মানুষ হইয়া জন্মিলে তাহার ব্যাধি হয়ই হয় । ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ ও আমেরিকান —তাহাদেরও হয় । মানুষ সকলেই, কেহ জানোয়ারও নয় দেবতাও নয়। তেমনি, মামুষ;মরিলেই বুড়ো মা-বাপ, বিধবা স্ত্রী, অনাথ শিশু তাহার থাকিবেই থাকিবে । বিধবা-সমস্ত আছেই আছে । এইসব কথা যদি গভীর দার্শনিক হিসাবে আলোচনা করিতে যান, তাহারও একটা হদিশ আছে । বুদ্ধদেব বলিয়াছেন, মানুষ হইলে দুঃখ থাকিবেই, দুঃখ থাকিলে তাহার কারণও আছে, সে কারণ নিবারণের উপায় সম্বন্ধেও তিনি নানা কথা বলিয়া গিয়াছেন। “সত্য-চতুষ্টয়” আর “অষ্ট পথ” অতি প্রসিদ্ধ কথা । মানুষ মাথা খাটাইয়া উপায় উদ্ভাবন করিয়া ব্যাধি, বাৰ্দ্ধক্য, দৈব, মৃত্যু, বিধবা, অনাথ ইত্যাদি সমস্তার মীমাংসা করিয়া গিয়াছে । ইহাকে দুঃখবাদ বলিতে হয় বলুন । কথা হইতেছে রক্তমাংসের শরীরে এইসব জিনিষ আছেই। আমাদের প্রশ্ন হইতেছে, তাহা যদি থাকে ভারতবর্ষে সেটা নিবারণ করা যাইবে কি করিয়া ? মান্ধাতার আমলের লোকেরা—যথা সেণ্টপল, জাৰ্ম্মাণ দার্শনিক বোমে 8