পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& e নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন ইত্যাদি সাধু ঋষিরা (খৃষ্টান মুল্লুকেও হাজার হাজার সাধু ঋষি আছেন ) এবং আমাদের দেশের সাধুরাও কেহ কেহ এক রকম উপায় আবিষ্কার করিয়াছেন। বলিয়াছেন,—“কুছ পরোয় নেই। না জন্মিলেই হইল। সংসারের কথা বেশী চিন্তা না করিয়া, সংযম-টংষম করিয়া বনে যাইয়া ধ্যানধারণা তপস্তায় কাটাইয়া দিলেই হইল। জন্মাইবার দরকার নাই” ইত্যাদি । আমি এই ধরণের মতকে হাস্তাম্পদ মনে করি না । মানুষের মাথার পক্ষে ইহাও একটা বড় আবিষ্কার । এই ধরণের আবিষ্কার কেবল ভারতে হইয়াছে তাহ নয়, কেবল চীনে হইয়াছে তাহ নয়, মুসলমান খৃষ্টান সকল মুল্লকেই হইয়াছে। যুগ-প্ৰবৰ্ত্তক বিসমার্ক আজ-কালকার দিনেও আবার মানুষ এই দিকে মাথা খাটাইয়া দেখিয়াছে। যদি মানব-জীবনকে সুখময় করিতে হয়, কৰ্ম্মদক্ষ করিতে হয়, মানুষকে যদি মৃত্যু পৰ্য্যন্ত নির্ভাবনায় কৰ্ম্ম করিতে হয়, তাহা হইলে তার জন্ত আর কোনো প্রণালী অবলম্বন করা যায় কিনা, মানুষের মাথা সেদিকেও খেলিয়াছে। যেমন ষ্টীম এঞ্জিন আগে পৃথিবীর কোন কারখানায় ব্যবহৃত হইত না, মানুষ মাথা খাটাইয়া সেইটি বাহির করিয়া তাহাকে কাজে লাগাইয়াছে, ঠিক তেমনি ১৮৮৩ সনে একটা জিনিষ মাহুষের মাথা হইতে বাহির হইল—দেবতার মাথা হইতে নয়, জানোয়ারের মাথা হইতেও নয়, ঋষির কল্পনা হইতেও নয়—মানুষেরই চিন্তার ফলে আসিয়াছে। সে আবিষ্কার বৎসর চল্লিশেকের ভিতর পৃথিবীর সকল দেশে অল্পবিস্তর ছড়াইয়া পড়িয়াছে। আমাদের ভারতে এখনও তাহার নাম পৰ্য্যস্ত অনেকে জানে না । সেই ১৮৮৩ সনের জিনিষটার আবিষ্কৰ্ত্তী ঘটনাচক্রে একজন জাৰ্ম্মাণ। যে সে জাৰ্ম্মাণ নয়, তাহার নাম