পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆԵ- নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আধুনিক সমাজ-নিষ্ঠার তৃতীয় কথা হইতেছে গবর্ণমেণ্টের একতিয়ারবুদ্ধি। উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইয়োরোপের লোকের গবর্ণমেণ্টকে দূরে রাখিতে চেষ্টা করিত। বলিত “হাওস অফ —হস্তক্ষেপ করিস না । লেসসে ফেয়ার—লোকেরা যা করিতেছে করুক তাতে গবৰ্ণমেণ্টের নাক গুজিবার দরকার নাই ।” ১৮৯০-৯১ সনের সমাজনিষ্ঠা বলিতেছে —“গবর্ণমেণ্টের সাহায্য সমাজের সকল কাজেই চাই। গবর্ণমেণ্ট উঠিয়া পড়িয়া না লাগিলে ভূমিহীনকে ভূমিপতি করিয়া তুলিবার কোনো উপায় দেখিতে পাওয়া যাইতেছে না।” কাজেই সৰ্ব্বত্র সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রে গবর্ণমেন্টের কৰ্ম্মগণ্ডী বাড়িয়া চলিয়াছে। ভারতবাসীরা যদি বর্তমান যুগের আইনকানুন পছন্দ করে, তবে তাদেরকেও গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্মগণ্ডী, গবর্ণমেণ্টের একতিয়ার, গবর্ণমেণ্টের সমাজশাসন বাড়াইয়া দিবার জন্ত প্রস্তুত থাকিতে হইবে । নবগঠিত চেকে-মোহাকিয়া, জুগোস্লাহিয়া, পোল্যাণ্ড, রুমাণিয়া ইত্যাদি দেশে আজকাল গবৰ্ণমেণ্ট কর্তৃক জমিদারী-লুট নীতি খুব জোরের সহিত চালানো হইতেছে। তবে এই লুট-কাণ্ডে জাৰ্ম্মাণ-বিদ্বেষ খুব বেশীরূপ আছে। কেননা বলকানের এই সকল নূতন দেশে অনেক জমিদারই জাৰ্ম্মাণজাতীয় লোক। যেন-তেন প্রকারেণ জাৰ্ম্মাণ নরনারীর “ভিটেমাটি উচ্ছন্ন” করা নূতন রাষ্ট্রগুলার প্রাণের সাধ । তবে আইনগুলার ভিতর জাৰ্ম্মাণ আবিষ্কারই বিরাজ করিতেছে। জাৰ্ম্মানদের দাত ভাঙা হইতেছে জাৰ্ম্মাণ নোড়ারই জোরে । ১৮৯০-৯১ সঙ্গের জাৰ্ম্মাণ আইন-বিপ্লব ১৮৯০-৯১ সনের জাৰ্ম্মাণ আইন কতকগুলা কিষাণ-মালিক ( পেজান্ট প্রোপ্রাইটর ) স্থষ্টি করিবার জন্ত কায়েম হইয়াছিল। যতটা জমি