পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छभिखभांब्र श्रॉईन-कांकून Ե, ) থাকিলে পরিবারের পক্ষে আর্থিক হিসাবে স্বাধীন জীবন যাপন করা সম্ভবপর হয়, বহুসংখ্যক চাষী পরিবারকে সেই পরিমাণ জমি দিবার ব্যবস্থা করা এই আইনের উদ্দেশ্য। “ছোট্ট কিষাণ”, “ফ্যামিলি ফাম* ( পারিবারিক আবাদ ) ইত্যাদি বস্তু এই আইনের গোড়ার কথা। ভূমিহীনকে ভূমিপতি করা অথবা নেহাৎ অল্প-পরিমাণ জমির মালিককে সঙ্গতিপন্ন “ছোট কিষাণে” পরিণত করা এই ব্যবস্থার অন্তর্গত। অাইনটাকে কাৰ্য্যে পরিণত করিবার কৌশল কিরূপ ? প্রথমতঃ ধরা যাউক যেন চাষীরা গবর্ণমেণ্টকে আসিয়া বলিল,—“আমাদের ‘ছোট কিষাণ’ বানাইয়া দাও । আমরা ‘পারিবারিক আবাদ’ চালাইয়া খাই ।” দ্বিতীয়তঃ গবর্ণমেণ্ট গেল বড় বড় জমিদারদের কাছে। বলিল,—“অমুক অমুক অঞ্চলে তোমার যে সব জমি আছে, সেগুলা আমাদের নিকট বেচিয়৷ ফেল । দ্যায্য দাম দিয়া দিতেছি।” তৃতীয়তঃ, চাষীরা ত একপ্রকার “অদ্য ভক্ষ্যে ধন্থগুণঃ’ অবস্থায় রহিয়াছে। তারা কপর্দকহীন, বলিতেছে—“সরকার বাহাদুর, পারিবারিক আবাদ যে কিনিতে চলিয়াছি দাম দিব কোথ থেকে ?” গবর্ণমেন্ট বলিতেছে,—“কুছ পরোয় নাই আমি তোকে টাকা ধার দিতেছি। এই টাকা হইবে তোর মূলধন। তাই দিয়া তুই জমিদারের জমিও খরিদ করিবি আর অাবাদে হালবলদ বাস্তুভিটার ব্যবস্থাও করিবি।" কিষাণ বলিতেছে,— শুধিব কি করিয় ?” গবর্ণমেণ্ট বলিতেছে —“আরে সবুর কর। আমিই ত মহাজন। শুধিবার ফিকির আমিই বাত লাইরা দিব ।” চতুর্থত, জমিদারবাবুর সন্দেহ পাছে তার জমিও যায় বিলি হইয়া, জার টাকা ও না আসে ট্যাকে বুঝি বা কেনা-বেচা সবই ফঙ্কিকার,— বর্তমান জগতের একটা ধাপ্লাবাজি মাত্র । গবর্ণমেণ্ট বলিতেছে,—