পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন عیپھیپھیپ“ جیسےجھجمہ: ১৮৯০ সনের আবহাওয়ায়,—বিসমার্কের আমলে এই জমিদার-দলন নীতি জাৰ্ম্মাণিতে সুরু হয়। স্বৰূবিধানের ব্যক্তিনিষ্ঠ, ধনদৌলতে স্বাধীনতা, জমিজমার স্বেচ্ছাচার—এককথায় রোমাণ-হিন্দু আইনের কতকগুলা বড় বড় খুটার মুণ্ডপাত সাধিত হয়। তারপর হইতে নয়া ঢঙের ভূমিবিধান ইয়োরোপের সর্বত্র ছড়াইয়া পড়িয়াছে। ১৯১৯ সনে যখন,— লড়াইয়ের পর,—জাৰ্ম্মাণ গণতন্ত্র ( রিপাব্লিক ) কায়েম হইল তখন এই নববিধানের এক চরম মুক্তি দেখা গিয়াছে। প্রথম কথা— ফিডাই কোমিস”—প্রথাকে সমূলে উৎপাটিত করা হইয়াছে। দ্বিতীয় কথা অতি ঘোরতর। শুনিলেই আঁংকাইয়া উঠিতে হয় ৮৭৫ বিঘার চেয়ে বেশী জমি যে-লোকের আছে তাকে তার অতিরিক্ত জমির তিন ভাগের এক ভাগ গবর্ণমেণ্টের আশ্রয়-প্রাপ্ত জমি-কেনা-বেচার কোম্পানীর নিকট বেচিতে বাধ্য করা হইয়াছে। আইনটা সম্প্রতি কোনো কোনো জেলার ভিতর গণ্ডীবদ্ধ । কিন্তু ব্যাপারটা কি গুরুতর বুঝুন। এই আইনই ডেন্মার্কের মারফৎ ইংরেজও মক্স করিতেছে। ১৯২৬ সনের যুবক বাঙলা আজ ১৯১৯ সনের জাৰ্ম্মাণ আইনটা বুঝিতে সমর্থ বা অধিকারী কি ? আমরা যে এখনো ১৮৯০-৯১ সনের পরীক্ষায়ই পাশ হই নাই ! ক্ষুদ্রীকরণের আর্থিক ক্ষতি আইনের জোরে না হয় “ছোট কিষাণ” বা “পারিবারিক আবাদ” গড়িয়া দেওয়া গেল। আগেই বলিয়াছি, ইংরেজদের মাপে ১৭৫২৫ • বিঘা হইতেছে “ছোট্ট” আবাদের বহর। জাৰ্ম্মাণরা ১২০ বিঘা আনজ দিয়া থাকে। আর ডেন্মার্কের নজর বেশ খাটো । বিঘা ৪৫এর বেশী এদেশের গবর্ণমেণ্ট কাউকে দেয় না । ভারতবর্ষে যদি কখনো হাজার