পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জমিজমার আইন-কানুন S& হাজার “কিষাণ-মালিক" বা “ছোট্ট-কিষাণ” গড়িয়া তুলিবার মতিগতি দেখ দেয়, তাহা ইলে আমাদের কোন প্রদেশে কত বিঘা জমিকে “পারিবারিক আবাদের" ভিত্তি বিবেচনা করা উচিত অঙ্ক কষিয়া খতাইয়া দেখিতে হইবে। সম্প্রতি সেকথা বলিতেছি না । জমিজমার আইন-কাকুনের ধারা বিশ্লেষণ করা আর তার ভিতরকার ভাবাথটা নিঙড়াইয়া বাহির করা হইতেছে এ যাত্রায় মতলব । ৪৫, ১২ • অথবা ২৫০ বিঘা জমির মালিক বনিয়া যাওয়া বেশ সোজ। কথা । গবর্ণমেণ্ট জমি কিনিতে টাকা ধার দিতেছে । আবাদ চালাইবার জন্তও গবর্ণমেণ্টের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যাইতেছে । চাষীদের মা-বাপই যখন গবর্ণমেণ্ট তখন আর ভাবনা কি ? আমরা ভারতে বসিয়া ঠিক এইরূপই মনে করিতেছি । আর ইয়োরোপের নরনারীও এইরূপই মনে করিত। কিন্তু তবুও ভাবনা আছে। সমস্ত বেশ জটিল । বিপদটা কোথায় ? আবার রোমাণ-হিন্দু ভূমি-বিধানের ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য । “আমার পাঠা আমি ল্যাজেই কাটি আর মুড়োয়ই কাটি —তাতে তোমার কি আসে যায় বাবা ?”–এই নীতি হইতেছে যুস্তিনিয়ানের সংহিতায় আসল কথা । এই নীতি নেপোলিয়ানি-আইনের আসল কথা । এই নীতি আবার মকু-মিতাক্ষরার ও অসল কথা । সম্প্রতি সমস্তাটা “উত্তরাধিকার” ঘটিত । হাজার দেড়-দুই বৎসর ধরিয়া, “সভ্য” দুনিয়ায়—যথা ইয়োরোপে, ভারতে অীর অন্তান্ত দেশে,— যে আইন-কানুন চলিতেছে তাতে “হিবলেজ কমিউনিটি’র যৌথ সম্পত্তি, যৌথ স্বত্ব, যৌথ উত্তরাধিকার নামক বস্তু দেখা যায় না । দেখা যায়, সম্পত্তি-বিভাগ সম্বন্ধে “মোটের উপর”—অর্থাৎ একাধিক ব্যতিরেক সত্বেও, সাধারণতঃ”—মালিক মশায়ের স্বাধীনতা । আর এই স্বাধীনতাটাও