পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কিন্তু ভারতের সাধারণ জীবনে শ্রম এখনও একটি প্রধান শক্তিরূপে কাজ করিতেছে না। শ্রমিক-সংখ্যাই তাহা বলিয়া দিতেছে । শিল্পমজুরের সংখ্যা ভারতে ২,৫ • •,• • • মাত্র । এই সংখ্যাকে ভারতের অধিবাসীর সংখ্যার সহিত তুলনা করিলে বলিতে হইবে, ইহা নিতান্তই নগণ্য। রেলের লোক, জাহাজের খালাসী, খনির মজুর, চা-বা শনের কুলী, কারিগর এবং শিক্ষিত ও অশিক্ষিত শ্রমিক ইত্যাদি সকলের ( স্ত্রী ও পুরুষ ধরিয়া ) সংখ্যা ধরিলে দেখা যায়, ভারতের অধিবাসীর শতকরা প্রায় দশ ভাগ লোক এই “শ্রেণী”র অন্তর্গত । তবু এই সংখ্যাট গ্রেটবুটেন, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, জাৰ্ম্মাণি ও ফ্রান্সের “সঙ্ঘবদ্ধ” শিল্প মজুরের তুলনায় খুব সামান্তই বলিতে হইবে। শ্রেমিক বনাম ধনিক ভারতে শ্রমিকদের আকাঙ্ক্ষা কিরূপভাবে পূর্ণ হইতেছে, কেহ জিজ্ঞাসা করিলে, তাহার উত্তরে কেহ কেহ হয় ত বলিবেন—মন্দভাবে নয় । সপ্তাহে কত ঘণ্ট। খাটিতে হইবে, তাহা জেনেহবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক মজলিসে নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। ভারতের ব্যবস্থাপক সভাও তাহাই গ্রহণ করিয়াছেন। গ্রেটুৰ্বটেন, যুক্ত-রাষ্ট্র, জাৰ্ম্মাণি ও অন্তান্ত শিল্প-প্রধান দেশে দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ এখনও কিন্তু *আইনে” পরিণত হয় নাই। এই হিসাবে ভারতবর্ষকে আধুনিকতমই বলিতে হইবে । হয় ত একটু অকালেই তাহার এই আধুনিকতা । কিন্তু এখনও অনেক কিছু করিবার আছে। শ্রমিকদের নেতারা একটি বিল ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় উপস্থিত করিয়াছিলেন । শ্রমিক স্ত্রীলোকদিগকে প্রসবের পূৰ্ব্বে ও পরে কতকগুলি সুবিধা দেওয়ার জন্তই ঐ বিলের উত্থাপন । কিন্তু উহা এখনও পাশ হয় নাই। উহার পাশ