পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মজুর-ফুনিয়ায় নবীন স্বরাজ SX > ইহার মধ্যে এক প্রকার নাই। শুদ্ধমাত্র আর্থিক অবস্থার দরুণই এই আন্দোলনের সুত্রপাত । অনধিক ৩•,• • •২ টাকা মূলধন লইয়া যে সমস্ত “ছোট-খাট” শিল্পব্যবসা চলিতেছে, তাহাদের কথা বর্তমানে না হয় বাদই দিলাম । তাহাতে বেশী লোক থাটেও না এবং সেখানে ফ্যাক্টরি চালানোর সমস্ত বা শ্রমের অবস্থা তেমন সঙ্গীনও নয় । কিন্তু “মাঝারি” ও “বিরাট" শিল্পকারখানাগুলিতেই শ্রমসমস্ত সঙ্গীন হইয়া দাড়াইয়াছে—তা সে কারখানাগুলি স্বদেশীরই হউক বা বিদেশীরই হউক। টাটার লৌহ-কারখানায় ২৭,••• হাজার, হুকুম চাদের পাটের কলে ৫,• • • হাজার মজুর খাটে । কাপড়ের কলগুলায় গড়ে এক হাজারের উপর লোক কাজ করে। এ সমস্তই স্বদেশীয় কারখানা। সরকারী গোলাগুলির কারখানার প্রত্যেকটিতে গড়ে প্রায় ১,৭০০ লোক খাটে । অন্ত দ্য শিল্প-কারখানায় যাহার কাজ করে, তাহদের গড় ১• • হইতে ১৫০ পর্য্যন্ত। এইরূপ শ্রমিকসংখ্যার গড় ( ফাক্টরি প্রতি ) বৃটিশ ভারতে ২৩• এবং দেশীয় রাজ্যে ১৪• । অবশু সব ক্ষেত্রেই সংখ্যাগুলিকে ঠিকের কাছাকাছি বলিয়া ধরিতে হইবে । যে সংখ্যা উপরে দেওয়া গেল সেটা কোনমতেই উপেক্ষণীয় নয়। জাপানে, ইতালিতে, এমন কি ফ্রান্সেও—এক একটা ফ্যাক্টরির কথা ধরিলে –অবস্থা এখানকার অবস্থা অপেক্ষা বেশী ঘোরালো নয় । শ্রমিক পুরুষ ও স্ত্রীর মোটসংখ্যা হয়ত ভারতবর্য অপেক্ষ সে সব জায়গায় বেশী । কিন্তু ফ্যাক্টরির শ্রম-বন্দোবস্ত-সমস্ত এবং মালিক ও ম্যানেজারদিগের উপর শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়া ভারত ও বিদেশ সৰ্ব্বত্রই সমান। শিল্প-মজুরদের সমস্ত আজ আন্তর্জাতিক হিসাবে পৃথিবী ব্যাপিয়৷ বৰ্ত্তমান ।