পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধনাৎপাদনের বিদ্যাপীঠ סאסוצ আরও অন্তান্ত পন্থার দরকার । বুঝিতে হইবে যে, যে-পথে এতদিন ধনোৎপাদন হইতেছিল, কেবলমাত্র সেই সেই পথে চলিলে ধনোৎপাদন বড় বেশী হইবে না । পৃথিবীতে ধনোৎপাদনের রূপান্তর ঘটিয়াছে ও ঘটিবে । ধনোৎপাদনের নতুন নতুন পথ চাই। নতুন নতুন পাঠশালা স্কুল কলেজ হওয়া চাই । বলিয়া রাখি যে, আমি উকিলী, ডাক্তারী, স্কুল মাষ্টারী, কেরাণীগিরি বা ঐ জাতীয় অন্তান্ত সুপরিচিত ব্যবসাকে নিন্দনীয় মনে করি না । এই সব কাজও ষোল আনাই ধনোৎপাদনের সহায় অর্থাৎ পুরামাত্রায় ‘ভোকেশন্তাল । দুনিয়ায় ফ্রান্সের ঠাই ইতালি, জাৰ্ম্মাণি, ফ্রান্স, আমেরিকা, ইংলগু, সকলের কথাই বলিয়াছি । আজকে প্রধানতঃ ফ্রান্সের কথা বলিব । ফ্রান্স দেশটাকে চুমরিয়া লওয়া সোজা। ফ্রান্সের মাত্র সাড়ে তিন কোটি লোক। আপনার হয়ত জিজ্ঞাসা করিবেন, তা হইলে ইতালির কথা বলি না কেন ? জবাব —ইতালি বৰ্ত্তমান জগতের মাপকাঠিতে অনেকটা ছোট—প্রায় যেন আমাদের বাড়ীর কাছে বেসা । ফ্রান্স বেশ উপরে, এতটা উপরে যে, অনেক বিষয়ে সে প্রায় জাৰ্ম্মাণি পৰ্য্যস্ত গিয়া ঠেকে । আমার বিবেচনায়, জাৰ্ম্মাণি, ইংলও, আমেরিকা—এই তিনটা হইল পৃথিবীর সেরা দেশ। আজকাল সভ্যতা-শিক্ষা-শিল্পের মাঠে যে ঘোড়দৌড় চলিয়াছে, তাহাতে ইংরেজ, জাৰ্ম্মাণ আর মার্কিণ প্রায় সমানে সমানে নং ক,—১ অর্থাৎ প্রথম শ্রেণীর প্রথম । ফ্রান্সকে প্রথম শ্রেণীর দ্বিতীয় অর্থাৎ ক,—২ ধরিয়া লওয়া আমার দস্তর। ফ্রান্সে সাড়ে তিন কোটি লোকের বাস । এর যেখানেই যান না কেন, ময়লা-পচা দুৰ্গন্ধ কিছু-না-কিছু সৰ্ব্বত্রই পাইৰেন। ওদের রেনাসাসের