পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৪ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ঘরবাড়ী অট্টালিকা খুবই মনোরম সন্দেহ নাই, কিন্তু সহরে হাটিতে গেলে এখানে ময়লা,ওখানে পচা । মেরামতের অভাব সহরে পল্লীতে যথেষ্ট । এসব দর্শকের চোখ এড়াইতে পারে না। ঠিক যেন কিছু কিছু আমাদের দেশেরই মত। তবে আমরা অবশ্য এ বিষয়ে ফ্রান্সের অনেক নীচে । কিন্তু জাৰ্ম্মাণিতে আমেরিকায় ওসব হইবার জোটি নাই । ওসব দেশে একেবারে সবই চকচকে, ঝকঝকে । আমেরিকা ও জাৰ্ম্মাণির স্কুল, টাউনহল, গবর্ণমেণ্টের বিপুলকায় প্রাসাদ, রাজপথ, গলি—সৰ্ব্বত্রই দেখিবেন কেবল খটখটে নিটোল দৃশু । সবই মাজাঘসা পালিশ । আমাদের দেশের ঘরের মেজেতে শুইতে অনেকের আপত্তি আছে ; কিন্তু এই সব দেশের যেকোন রাস্তায় খালি গায়ে গুইয়া থাকিতে আমি রাজি আছি। স্বাস্থ্যরক্ষা, সৌন্দৰ্য্য, পারিপাট্য, মানুষের শরীরকে সুখী করিবার যত কিছু উপায় ও কৌশল তাহ এর কায়েম করিয়াছে। ফ্রান্স এই সব বিষয়ে এই দুই দেশের অনেক পেছনে পড়িয়া আছে । যাক, তবুও ফ্রান্সকে আদর্শ করিয়া চলিলে বাঙ্গালীর এখনো লম্বা এক যুগ চলিতে পারে । সাড়ে ভিন কোটির দেশে একলাখ এঞ্জিনিয়ার এই ফ্রান্সে,— সাড়ে তিন কোটি নরনারীর ফ্রান্সে—প্রায় এক লাখ এঞ্জিনিয়ার আছে । ঘরবাড়ী তৈয়ারী-মেরামতের এঞ্জিনিয়ার, শিল্পকারখানার এঞ্জিনিয়ার, রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক এঞ্জিনিয়ার—এই সব ধরে ৮৫–৯৫ হাজার ঠিক এই একলাখ এঞ্জিনিয়ারের মধ্যে দশ হাজার পয়লা নম্বরের শিল্প-সেনাপতি । এই সকল শিল্প-সেনাপতি বা শিল্পনায়কের অধীনে প্রায় পঞ্চাশ লাখ কৰ্ম্মী, পঞ্চাশ লাখ মজুর-ফৌজ আছে। গড়ে তাহা হইলে প্রত্যেক পঞ্চাশ জনের এক একজন সেনাপতি ।