পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృఏby নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন গুজরাতী বন্ধুর নিকট বলিয়াছিলাম, বাঙ্গলা হইতে তো কোন লোকের সাড়া পাওয়া যাইতেছে না। বন্ধুটি তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিল,—“ক্যা, দাস বাবু কা নাম আপকা মালুম নাহি হায় ?” জিজ্ঞাসা করিলাম – দাস বাবুটি আবার কে ? দাস তো বাঙ্গালায় কতই আছে । জবাব পাওয়া গেল,—দাস সাহেব, ব্যারিষ্টার থা, উস্কা বহুৎ প্রাকৃটিস থা। অনেক আলোচনার পর বাহির হইল চিত্তরঞ্জনের নাম । চিত্তরঞ্জন জীবনের শেষ দিকে মাত্র দুই তিন বৎসর নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে দেশের জন্ত উৎসর্গ করিয়া দিয়াছিলেন । কিন্তু আবার মজার কথা । তিনি যখন আসরে নামিয়াছিলেন তার বন্ধুরা, প্রবীণ বিজ্ঞেরা তার ছায়া মাড়াইয়াছিলেন কি ? মাড়ান নাই । তিনি যুবার পাল্লায় পড়িয়া আসরে নামিয়াছিলেন,—শেষ পৰ্য্যন্ত যুবারাই র্তাহাকে অবতার করিয়া রাখিয়াছিল । তার ডাইনে বায়ে কেবল আঠারবাইশ বছরের যুবা । নেতা হ’ল আঠার-বাইশ বছরের যৌবন-শক্তি। আর তারই পশ্চাতে থাকিয়া—অথবা তারই মুখপাত্র হইয়া চিত্তরঞ্জন “দেশ-বন্ধু" দাড়াইয়া গেলেন । দিগ্বিজয়ী বঙ্গীয়-যৌবনের এক শ্রেষ্ঠ কীৰ্ত্তিস্তম্ভ চিত্তরঞ্জন। যুবক ভারতের কৃতিত্ব সম্বন্ধে আন্তরিক সাক্ষ্য চিত্তরঞ্জনের নিকট যত পাওয়া যাইতে পারিত, অত বোধ হয় আর কাহারও কাছে নয় । সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাইতেছি, যুবক ভারত প্রতিজ্ঞা করে যে,--অসাধ্য সাধন করিতে হইবে । তারা নিজে খাটিয়া, নিজের জীবনে পরখ করিয়া, নিজের ভুগিয়া দেশকে দেখায়,-কাজটা করিয়া তোলা নেহাৎ অসাধ্য নয়। তখন বড় লোকেরা আসিয়া তাদের সাথে যোগ দেয় । তখন আসিয়া তারা বলেন,—“হা, কাজটা করিতে হইবে।” এই হইতেছে যৌবন-বিজ্ঞানের ধারা ।