পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় ుపాతి ASAA AAASA SAASAASAASAASAASAASAAAS ^^^ ^^^_fv^^^^&**^^u^^^^^^^^^^^^a বৃহত্তর ভারতে রবীন্দ্রনাথ যাক, এসব তো মরা বাঘের কথা বলিলাম। এখন একটা জ্যান্ত মামুষের কথা বলা যাউক । বলিতে যদিও ভয় হইতেছে, কেন না আপনাদের মেজাজ বুঝিয়া ওঠা কঠিন । রবি বাবুকে অনেক যুবক পছন্দ করেন না । তার কারণ অবশু আমি জানি না, বুঝিতেও পারি না । কিন্তু আমার বিবেচনায় রবি বাবু একজন সেরা যুবা । যুবক বাজলার দিগ বিজয়ে প্রথম কীৰ্ত্তিস্তম্ভ বঙ্কিমচন্দ্র, দ্বিতীয় কীৰ্ত্তিস্তম্ভ বিবেকানন, তৃতীয় আশুতোষ, চতুর্থ চিত্তরঞ্জন । তেমনি আর এক কীৰ্ত্তিস্তম্ভ ঐ জ্যাস্ত মানুষটা—রবীন্দ্রনাথ । এই সম্বন্ধে বেশী কিছু বলিব না । মাত্র দু’একটা কথা বলিতে চাই । গত বৎসর এই রবীন্দ্রনাথ মরণাপন্ন হইয়া । পড়িয়াছিলেন । কিন্তু কোথায় ? ভারতে নয়—এশিয়ায় নয়,—সেই সুদুর দক্ষিণ আমেরিকার পথে—আটলান্টিক মহাসমুদ্রের বুকের উপর। যদি ঐ রকম অবস্থায় ঘটনাচক্রে তার মৃত্যু ঘটিত,—মরিলে ভাল হইত বা সুখের হইত তা বলিতেছি না,—তাহা হইলে বাঙ্গালী সমাজে যে একটা ৬৬ বছরের যুবা ছিল তা দুনিয়ার লোকে টের পাইত। কিন্তু তিনি সৌভাগ্যক্রমে মরিতে মরিতে যমের দুয়ার হইতে ফিরিয়া আসিয়াছেন। এই ৬৬ বছরের প্রবীণকে যুবা তাজা নবীন বলিতেছি কেন ? একে যৌবনধৰ্ম্মের বড় খুটা বিবেচনা করিতেছি কেন ? সেই সুদূর আর্জেন্টিনিয়া প্রদেশে তিনি যুবক ভারতের, যুৰক বাজলার বাণী প্রচারিত করিতে ছুটিয়া যাইতেছিলেন। কোথায় চীন, কোথায় সুইডেন, সকলের সঙ্গেই বাঙ্গলার যৌবন-শক্তির যোগাযোগ কায়েম করিবার আন্দোলনে তিনি নিজকে সজাগভাবে মোতায়েন রাথিয়াছেন ।