পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌবনের দিগ্বিজয় &e> ছনিয়ার সর্বত্র ইংরেজের প্রতিনিধি রহিয়াছে । তারা সে সকল দেশে যা কিছু করে, আমাদের প্রতিনিধিরাও ঠিক তাহাই করিবে। এই রকম ভারতায় প্রতিনিধি মাসে ইয়েতে, নিউইয়র্কে, ইয়োকোহামায়, হামুর্গে, লগুনে রোমে, পাঠাইতে হইবে । দুনিয়ার প্রত্যেক বিস্কার কেন্দ্রে এমনিতর ভারতীয় প্রতিনিধি থাকা চাইই চাই । এই আন্দোলনে আর কেউ যোগ দিতে পারেন নাই। প্রবীণদের মধ্যে যদি কেউ যুবক ভারতের এই বৃহত্তর ভারত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সমঝিয়া থাকেন,— বিদেশে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এবং ভারতীয় প্রতিনিধি রাখিবার সার্থকতা, বিদেশীদের সাথে কৰ্ম্ম ও চিন্তার বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়া থাকেন তবে সে এই রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথকে এইজন্য যুবক ভারতের, যুবক নিয়ারই প্রতিনিধি বিবেচনা করিতেছি । রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্ত কোন প্রবীণকে সে ইজ্জং দিতে বড় শীঘ্র রাজি হইব কি ন সন্দেহ । রক্ত করবীতে যুবার ইজ্জৎ রবিবাবু সম্বন্ধে আর একটা মাত্র কথা বলিতে চাই। বেশী সময় লইব না । তার “রক্ত-করবার” কথা বলিতেছি । এইখানেও কবির উপর আমাদের যেীবনশক্তিরই জয় জয়কার দেখিতে পাইতেছি । যে সে হাড়ে রক্তের লাল বাহির হয় না। সে কেবল যৌবনের তাজ হাড়েই সম্ভব। রবীন্দ্রনাথ যুবা, যুবার সেবক ও ভক্ত । রবীন্দ্রনাথের অন্যান্ত কীৰ্ত্তির চেয়ে তাহার যৌবন-প্রতি এবং যৌবন-নিষ্ঠ ছোট কথা নয় । যুবা ছনিয়ার বাণী রবীন্দ্র-সাহিত্যে প্রবেশ করিয়াছে । জগতের যৌবনশক্তি ফরাসী কবিকে, জাৰ্ম্মাণ কবিকে, ইতালিয়ান কবিকে, ইংরেজ কবিকে, রুশ কবিকে, মার্কিণ কবিকে, মানবজাতির পুনর্গঠন সম্বন্ধে নানা কথা শিথাইতেছে। সেই সকল কথারই কিছু কিছু রবিবাবুর