পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వeఇ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কানেও আসিয়া পৌঁছিয়াছে। আর কোনে বাঙ্গালী বা ভারতীয় প্রবীণের সাহিত্যরচনায় তাহ মুক্তি পাইতেছে কিনা সম্প্রতি আলোচনা করিব না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মহত্বই এই যে, তিনি যৌবন-শক্তির অনুসরণে অভ্যস্ত ও সুপটু ৷ “রক্তকরবী” স্বষ্টি করিয়া তিনি দুনিয়ায় যুবক বাঙ্গলার ইজ্জৎ রক্ষা করিয়াছেন। যৌবন-শক্তির দিগ বিজয় বাঙ্গলার যে সব উচ্চ কীৰ্ত্তিস্তম্ভে আত্মপ্রকাশ করিয়াছে তার ভিতর রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্ব অন্ততম । নিলজি বেহায়ার মতন আমি অনেক বাজে বকিয়া যাইতেছি । এসব কথা আপনাদের কানে হয় ত বিতিগিচ্ছিরি লাগিতেছে । কিন্তু আমার নিকট এসব কথা দু জুগুণে চারের মত প্রথম স্বতঃ-সিদ্ধ । চাই তরুণের আত্মচৈভদ্য বাঙ্গলার যৌবনশক্তি বঙ্কিম-বিবেকানন্দের মত মরা লোকগুলাকে জ্যাস্ত করিয়া তুলিয়াছে । আর আশুতোষ-চিত্তরঞ্জনের মতন জ্যাস্ত লোকেরা বাঙ্গলার যৌবনশক্তির প্রভাবেই যুব হইয়া কাজ করিয়াছেন। এরা সকলেই আজ এজগতে নাই। কিন্তু চোখের সামনে আমাদের যে অদ্বিতীয় বঙ্গসস্তান কাটে বাজারে নাচিয়া গাহিয়া কবিতা রচনা করিয়া বেড়াইতেছেন, তিনিও যুবক বাঙ্গলারই এবং খানিকট যুবক জুনিয়ারও স্বষ্টি । এই কয়জন বাঙ্গালী বীরদের সম্বন্ধে যে সব কথা বলা হইল আমার মতে কোনো মহাপুরুষের পক্ষে এর চেয়ে বেশী গৌরবের কথা আর কিছুই হইতে পারে না । যে সকল লোককে যুবারা জ্যান্ত করিয়া রাখে অথবা যাহারা যুবাদের নিকট পরাজিত হইবার মতন শক্তি ও সাহস রাখে তাহারাই দুনিয়ার আসল বীরপুরুষ ।