পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨.8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পণ্টন আছে, আমাদের নাই । তা ছাড়া জীবনের আদর্শ, সভ্যতা, ভব্যতা, সমাজ, পল্লীর সঙ্গে সহরের সম্বন্ধ, ফ্যাক্টরীর সঙ্গে চাষের সম্বন্ধ— এসব বিষয়ে যাহা বাঙ্গালী, তাহা জাপানী, যাহা জাপানী তাহ জাৰ্ম্মাণ, যাহা জাৰ্ম্মাণ র্তাহ। ইংরেজ । আমি বলিতেছি—ভারত পরাধীন, তবু সে দুনিয়ার পথেই চলিয়াছে, ভারত বর্তমান জগতেরই অন্যতম অঙ্গ । আজকাল যে পথে চলিয়াছি স্বাধীন থাকিলেও আমরা সেই পথেই চলিতে থাকিব । আর্থিক অবস্থায় অবনভির কোন চিহ্ন নাই এইবার দ্বিতীয় স্থত্র। গডডলিকা ওয়ালা বলিতেছে—“আর্থিক হিসাবে ভারতের দারিদ্র্য দিন দিন বাড়িয়াই চলিয়াছে।” এখানে ত্যাদড়ামির দর্শন বলিতেছে—“তা ঠিক না হইভেও পারে ! ভারতভূমি ক্রমে ক্রমে দরিদ্রতর হইতেছে, কষ্টাৎ কষ্টতরং গতা—একথা প্রমাণ করা বড় সোজা কথা নয় ।” সামান্ত সামান্ত দু’একটা বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণ দিয়া যাইতেছি । আমি যখন প্যারিসে যাই, দেখি কি ? তোফা বাড়ী, তোফা ঘর, মুত্র ট্রাম, সুন্দর হোটেল ৷ ফিটফাট লোকজন চলাফেরা করিতেছে, পোষাকপরিচ্ছদ সব চোস্ত তুরস্ত, সুঠাম টেবিলের উপর নরনারী খাইতেছে ইত্যাদি। আমরা যখন ইংলণ্ডের ঐশ্বৰ্য্য মাপি তখন দেখি ওদের বাড়ীঘর কি রকম, জমি জোতের পরিমাণ-কি, কয়জন খায়, কি খায় ইত্যাদি । আমাদের দেশেও ধনৈশ্বয্য জরীপ করিবার ঠিক সেইরূপ প্রণালীই কায়েম কর। যাউক । তাহা হইলে কি দেখিতে পাই ? চল্লিশপঞ্চাশ বছরের ভিতর ভারতের এবং বাংলাদেশের অবস্থা যে খারাপ হইয়াছে তাহ প্রমাণ করিবার মতন কোন চিহ্ন খুজিয়া পাই না। যে মাপে, যে প্রমাণে আমরা বলিয়া থাকি, ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মাণি, ফ্রান্স, জাপান আর্থিক হিসাবে পঞ্চাশ-ষাট বৎসর আগে যা ছিল তার চেয়ে উন্নতির