পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন ૨૨G: পথে এগিয়ে যাইতেছে, ঠিক সেই প্রণালী ও সেই মাপকাঠিতে ংলাদেশও উন্নতির দিকেই যাইতেছে, দারিদ্র্যের দিকে যাইতেছে না ; মোগলাই-মারাঠা আমলে অথবা মৌর্য্য-গুপ্ত আমলে ভারতে সোনার যুগ ছিল না । ইংরেজ, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণরাও মধ্যযুগে বা প্রাচীনকালে আজকালকার চেয়ে বেশী সুখে ছিল না । কলের জল ও বালাম চাউল চোখের সামনে দেখুন, কলিকাতায় যারা আছে তাদের জীবনের প্রধান জিনিষ হইতেছে কলের জল আর বালাম চাউল । এই দুটি জিনিষ যার পেটে পড়ে তার “ভিটে মাটি উচ্ছন্ন যায়”, মতিগতি বিগড়িয়া যায়। রূপকের সাহায্যে বুঝিতে হইবে যে—“আধুনিকতা”, —সভ্যতা-ভব্যতা, স্বাস্থ্যোন্নতি, কৰ্ম্মদক্ষতা ইত্যাদি যে জনকেন্দ্রে বাড়িয়া যায় তারই নাম কলিকাতা । কথা হইতেছে, এই দুটা জিনিষ আর্থিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের চলনসই চক্ষুষ বাস্তবগোছের মাপকাঠি । জেলায় জেলায় আপনার মাপিয়া দেখুন—সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতিমূৰ্ত্তিস্বরূপ এই ছট জিনিষ অথবা এই ছটা জিনিষের মাসতুত ভাই-জাতীয় অন্তান্ত বস্তু বিগত ত্রিশ-চল্লিশ-পঞ্চাশ বৎসরের ভিতর কত বাড়িয়াছে । ত্রিশচল্লিশ-পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে গোটা বাংলাদেশে একটও মিউনিসিপ্যালিটি ছিল না । না থাকার অথবা খারাপ থাকার মানে কি তা আমি ১৯১০-১২ সনে ঢাকায় চলাফেরা করিয়া বুঝিয়াছি । সেই মিউনিসিপ্যালিটির সংখ্যা আজ যদি ১১৫ হইয় থাকে অথবা ৫০টার জায়গায় আজ যদি ১০০টা হইয় থাকে, তাহলে কি বলিব যে, আর্থিক হিসাবে বাঙ্গালী সমাজ অবনতির পথে যাইতেছে ? কেবল মিউনিসিপ্যালিটী নয়, যে-কোন লোকের পরিবারের খবর লইয়া দেখা যাইতে পারে ত্রিশ-চল্লিশ-পঞ্চাশ বৎসর আগে তারা কি খাইত, >Q