পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

র্ত্যাদড়ের দর্শন Rరిసా না । ঐ লাইনেই আরও অনেক ফন্দি-ফিকির বাহির করিতে হইবে । আশুতোষের পথেই এই কাজ আরও বাড়াইয়া তুলিতে হইবে। চাই আট-দশট আশুতোষ । প্রশ্ন হইতেছে—কবে একটা জন ষ্টয়াট মিল বা আইনষ্টাইনের কথা বিদেশীরা আসিয়া আমাদের ইস্কুলে শুনাইবে, আর আমরা সেটা মুখস্থ করিয়া মানুষ হইব, সে ভাবে চলিলে আর কুলাইবে না। জাপান তা করে না, তুর্কী তা করে না। ওরা বসিয়া থাকে না এই আশায় যে, কবে ইংরেজ, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, মার্কিণ আসিয়া জাপানকে বলিবে— “ওরে এই একটা নতুন আবিষ্কার হইল, তোদের দেশেও এটা কাজে লাগিবে ।" ওরা নিজের সকল দশে গিয়া নিজের মাথা চালনা করিয়া । মাল লইয়া আসে । জাপানীরা বসিয়া রহিয়াছে দুনিয়ার সর্বত্র । দূরবীণ লাগাইয়া দেখিতেছে কোথায় কোন তারা উঠিল। ধরা যাকু যেন, ফটোগ্রাফের ব্যবসা জাৰ্ম্মাণ চালাইতেছে । অথবা ইংরেজ ফরাসী আমেরিকান এক একটা ঘাটি আগলাইয়া বসিয়া আছে। জাপান তাই দেখিতেছে, দেখিয়া বলিতেছে—“তাইত আমরা বসিয়া থাকিতে পারি না ।” দেশে যত রকম কলকারখানার ব্যবসা-বাণিজ্য আছে তাতে যোগ দিয়া কেহ রবারের ব্যবসা, কেহ কাচের ব্যবসা ধরিয়াছে। কেহ মন্ত্রী,কেহ মজুর-আন্দোলনের কৰ্ত্তা, কেহ মাষ্টার । এইরূপ ধরণের কাজে পাচ-সাত বৎসরের অভিজ্ঞতা যেই হয়, তখন তারা বাহির হইয়া পড়ে আমেরিকায় —জমিজমা সম্বন্ধে, ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে সেখানে কি হইতেছে দেখিতে । আমেরিকা খতম করিয়া যায় বেলজিয়ামে । সেখানেও শেষ নয় ; যায় জাৰ্ম্মাণিতে। এই রকম করিয়া ঘুরিতে ঘুরিতে আড়াই-তিন-পাচ বৎসর পর ফিরিয়া আসিয়া আবার কাজে লাগিয়া যায়। অথবা পুরানো কাজই বাড়াইয়া তোলে। দুই তিন বৎসর কাজ করিতে করিতে দেখে যে,জীবনট তেতো হইয়া গিয়াছে, পুরানো হইয়া গিয়াছে, চাঙ্গা হইয়া আসা দরকার,