পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8이 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন তখন চলিল আবার বিদেশে । অভিজ্ঞতার পর অভিজ্ঞতা লাভ করিয়া তারা জীবনটাকে হরদম তাজা করিয়া তুলিতেছে । এই হইতেছে জ্যাস্ত জাতের জীবন-সাধনা ৷ বাঙ্গালী তা করিতেছে না। আমরা রহিয়াছি বসিয়া কবে ম্যাকমিলান কোম্পানী বই ছাপাইবে, আর ছাপা হইলে কবে তার আড়কাঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুয়ারে আসিয়া বলিবে—“দেখুন মশায় ছাপা হইয়াছে, টেক্সটু বুক করুন।” তখন আমরা বলি—“আচ্ছা রেখে যান, দেখিব কি করিতে পারি” । যুবক বাংলা কেন পরের উপর নির্ভর করিতেছে ? জাপান তা করে না । ইংরেজ কোন কোন বই নতুন বাহির করিতেছে, ফরাসী রাসায়নিক কোন কায়দা নতুন আবিষ্কার করিল, জাৰ্ম্মাণি কোন কোন গানের কোন কোন মুর নতুন স্বষ্টি করিল তা জানিবার জন্য জাপানের লোক মোতায়েন ঝুঁহিয়াছে । সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস, বৎসরের পর বৎসর প্রত্যেক জাহাজে জাপানীরা বিদেশে যাইতেছে— বিদেশী সাহিত্য, শিল্প, কলকজা দেখিতে, শিখিতে, জানিতে ও আমদানি করিতে । গাড়ো অগডডা বিদেশে গডডলিকা বলিতেছে—“আমরা জন্মিয়াছি এদেশে, দু’এক জন নামজাদ স্বদেশী লোকের কল্যাণে যা-কিছু পাইয়াছি তাতেই বেশ চলিয়া যাইতেছে, বিদেশে যাইবার দরকার নাই। বিদেশ থেকে নতুন কিছু আমদানি করিবার জন্ত মেহনৎ করা অনাবশু্যক । বিদেশীরা আমাদের চেয়ে বড় বেশী উপরের শ্রেণীর লোক নয়।” ত্যাদড় বলিতেছে, “আমরা একসঙ্গে পঞ্চাশ হাজার এক লাখ বাপক বেটা লোক চাই ।”