পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<ፃ8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ধরিয়া শিপাইয়া দিতেছে,—“ওরে বাপু, ‘মধুর বহিবে বায়ু, বেয়ে যাব রঙ্গে—সে দিন আর নাই । সাধু সাবধান ! জীবনের মাপকাঠি বাড়াইয়া চল, কৰ্ম্মদক্ষতার মাত্রা বাড়াইবার ব্যবস্থা কর, মাথাটাকে পাকাইয়া তুলিতে সচেষ্ট হ’।” বর্তমান ক্ষেত্রে এই যুগান্তরের একটা লক্ষণ দেখিতে পাইব । ব্যাঙ্কপরিচালনা সম্বন্ধে বাঙালী সমাজে একটা সাড়া পড়িয়া যাইবে । বাংল! দেশে আজকাল শ“চারেক ব্যাঙ্কের সঙ্গে কম সে কম পাচ হাজার লোক ব্যাঙ্ক পরিচালনার ছোট বড় মাঝারি কাজে মোতায়েন আছে । এই সকল ব্যাঙ্ককৰ্ম্মচারীর অনেকেই ব্যাঙ্ক-বিষয়ক বিদ্যা অর্জন করিবার সুযোগ পান নাই। তাহারা কৰ্ম্মক্ষেত্রে নামিবার পর ঠেকিয়া ঠেকিয়া হাতে কলমে যাহা-কিছু শিখিয়াছেন তাহার জোরেই বাঙালীর ব্যাঙ্কব্যবসা চলিতেছে । কিন্তু যথার্থ বিজ্ঞান-সন্মত ব্যাঙ্ক-টেকৃনিক শিখিবার ও শিখাইবার ব্যবস্থা করা জরুরি হইয় পড়িয়ছিল । সেই কথাটা বেঙ্গল দ্যাশন্তাল ব্যাঙ্কের ফেল মারা উপলক্ষে প্রচুর পরিমাণে বুঝা যাইতেছে। আর সঙ্গে সঙ্গে অভাবটা মিটাইবার কিছু কিছু ব্যবস্থাও করা হইতে থাকিবে বলিয়া বিশ্বাস হইতেছে । ব্যাঙ্ক-ফেলের কারণ আলোচনা করিতে গিয়াই দেশের মামুলি লোকেরাও ব্যাঙ্ক-বিজ্ঞান সম্বন্ধে অনেক-কিছু শিখিয়া ফেলিবে । ব্যাঙ্ক-পরিচালক ও ব্যাঙ্ক-কেরাণী এই দুই শ্রেণীর লোকেও বিষয়টা ব্যাপক ভাবে বুঝিবার জন্ত যত্ন লইতে থাকিবেন । আগামী কয়েক বৎসরের ভিতর বাংলা দৈনিক সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায় ব্যাঙ্ক বিষয়ক একটা বড় গোছের সাহিত্যই গড়িয়া উঠিবে। ব্যাঙ্ক সম্বন্ধে বক্তৃতা আর পাঠশালার ব্যবস্থাও শিক্ষা-সংসারে একটা নূতনত্ব হইবে। সকল তরফ হইতে বাংলাদেশে একটা ব্যাঙ্ক-বিজ্ঞানের আন্দোলন আশা করিতে পারি ।