পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ՀԳ6 এই উপলক্ষ্যে একটা প্রস্তাব করিয়া রাখিতেছি । বাংলাদেশের ব্যাঙ্ক-পরিচালকগণ শীঘ্রই একটা সৰ্ব্ববঙ্গ ব্যাঙ্ক-সম্মেলনের ব্যবস্থা করুন । বাঙালীর তাবে আজকাল যে সকল লোন-অফিস ৭ অন্তান্ত শ্রেণীর ব্যাঙ্ক পরিচালিত হইতেছে, সেই সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা মফঃস্বলের কোন কেন্দ্রে অথবা কলিকাতায় সমবেত হউন । বাঙালী ব্যাঙ্কের বর্তমান অবস্থা অব তাহা উন্নত করিবার উপায় সম্বন্ধে কৰ্ম্মদক্ষ ও চিন্তাদক্ষ লোকেরা পরামর্শ করুন। তাহা হইলে “কত ধানে কত চাল” বুঝিতে পারিয়া বাঙালী জাতি ভবিষ্যতের জন্য কৰ্ম্ম-পথ বাছিয়া লইতে পারিবে । এইরূপ সম্মেলন বৎসর বৎসর অনুষ্ঠিত হইলে ব্যাঙ্ক-বিদ্যা সম্বন্ধে বাঙালীর চিন্তা ত পুষ্ট হইতে থাকিবেই, সঙ্গে সঙ্গে বিপুলায়তন আধুনিকতম ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলা ও বাঙালীর কব জার পক্ষে সহজ হইয়া উঠিবে। ৩ । হিন্দু-মুসলিম প্যাছ • প্যাক্ট জিনিষটা কি ? ইহা একটা চুক্তিনাম, বিভিন্ন ব্যক্তি, দল বা শক্তির একটা আদান প্রদান। আপোষ নিম্পত্তি বা লাভ লোকসানের সামঞ্জস্ত বিধান করাই ইহার উদেখা । বৰ্ত্তমান ভারতের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও আর্থিক জীবনের যেরূপ গড়ন, তাহাতে এই প্যাক্টের প্রয়োজনীয়ত অস্বীকার করিলে নয়া ভারতের অবস্থা সম্বন্ধে অপূর্ণ জ্ঞানেরই পরিচয় দেওয়া হইবে । আমাদের চারিদিকে যে বিভিন্ন রকমের শক্তি কাজ করিতেছে, এগুলির অস্তিত্ব অস্বীকার করিবার উপায় নাই । এ সকল শক্তি ও স্বার্থ প্রত্যেকটর সঙ্গে আমাদিগকে অজি ভালরূপ পরিচিত

  • “ফরোয়ার্ডের” চিত্তরঞ্জন সংখ্যায় ( জুলাই ১৯২৮) প্রকাশিত হবৃহৎ প্রবন্ধের কিয়দংশ হইতে তাহেরউদ্দিন আহমদ কত্ত্বক অনুদিত ।