পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ২৭৭ মোসলমান শক্তি বলিয়া যে একটা বস্তু ভারতের মাটীতে আছে, সেই বস্তুট সম্বন্ধে আজ আমাদিগকে সচেতন হইতে হইবে। যখনই কোন নতুন শক্তি দেশের মধ্যে মাথা তুলিয়া খাড়া হয়, তখন তাহার বিষয় স্বদেশসেবীদিগের পক্ষে বিচক্ষণরূপে চিন্তা করিয়া দেখা দরকার । তাহাকে বুঝিতে হইবে-চিনিতে হইবে এবং তাহার সঙ্গে মিলনের পথ খুজিয়া বহির করিতে হইবে । কেবল মাত্র হিন্দু-মুসলিম প্যাক্টে চলিবে না— নয়া ভারতে আজ এ ধরণের গণ্ডী গও প্যাক্ট কায়েম করা অবিহুক । আমরা চাই আজ জমিদার-রায়ত প্যাক্ট, ধনিক-শ্রমিক প্যাক্ট, হিন্মুসলমান-প্যাক্ট, অস্পৃশু-প্যাক্ট, নমশূদ্ৰ-প্যাক্ট, ব্রাহ্মণ-অব্রাহ্মণ-প্যাক্ট । এই ধরণের বহুসংখ্যক প্যাক্ট স্বষ্টি করিলে তবে ভবিষ্ণু-ভারতের গোড়াপত্তন করা সম্ভব হইবে । হিন্দু-মুসলিম প্যাক্ট দ্বারা চিত্তরঞ্জন হিন্দুদিগকে “অসম্ভব রকমের” স্বাৰ্থত্যাগ করিতে বলিয়ছিলেন সত্য, কিন্তু এই তথাকথিত স্বাৰ্থত্যাগের দ্বারা তিনি রাষ্ট্রের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করিবার প্রয়াসই পাইয়াছিলেন। ইহা দ্বারা নয়া ভারতকে তিনি দুনিয়ার নতুন হালচালের সম্বন্ধেই ওয়াকিব-হাল হইতে অহিবান করিয়াছিলেন । দেশের মধ্যে এই যে তথাকথিত ছোটরা মাথা তুলিয়। দাড়াইতে চাহিতেছে, রাষ্ট্রে ও সমাজে আজ যে তাহার ইজ্জত দাবি করিতেছে এবং তাহাদের দাবী যে ন্তায্য, এই কথাই চিত্তরঞ্জন যুবক-ভারতকে স্মরণ করাইয় দিয়াছিলেন। দশ বছর পরে ভারতে যাহা অবশ্যম্ভাবী রূপে দেখা দিবেই দিবে, হিন্দু-মুসলিম | প্যাক্ট দ্বারা তিনি মোসলমানের সেই পাওনার কড়িটাই ছাড়িয়া দিবার জন্ত । হিন্দু-সমাজের নিকট আবেদন করিয়াছিলেন । n ইহা সত্য যে, হিন্দু-মুসলিম প্যাক্টে “ডাল ভাতের” কথাই প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছে। আর্থিক সুবিধার হস্তান্তর ও আর্থিক জীবনের