পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন AAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMeMAMMeeeeAMMeAJMMMMMMS MMA AAMAMMMMAMAMMAMAMAMMM AeeAAA AAAA AAAA AAAAA হইতে হইবে । কেবল পরিচয় মাত্র নয়। সেগুলার ধরণ ধারণ বুঝিয় তাহদের সাহায্যে নিজ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও চিত্তের পুষ্টি সাধন করিতে হইবে । চিত্তরঞ্জন ভারতের এই বিভিন্ন জাতি ও তাছাদের পরস্পরের স্বার্থগত দ্বন্দ্বের বিষয় খুব পরিষ্কার ভাবেই উপলব্ধি ও অনুভব করিয়াছিলেন । ভারতের রাষ্ট্রীয় জীবন সম্বন্ধে চিত্তরঞ্জনের এই পরিষ্কার বস্তুনিষ্ঠ অনুভূতিই র্তাহার হিন্দু-মুসলিম প্যাক্টে দিব্যভাবে প্রতিফলিত হইয়াছে। চাষীরা একটা শক্তিরূপে দেখা দিয়াছে । আর এই শক্তি যে দলবদ্ধরূপে গড়িয়া উঠিতেছে ইহা কাহারও অস্বীকার করিবার উপায় নাই । বর্তমানে এই সকল দল দ্রুত সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া বড় বড় শক্তিকেন্দ্রে পরিণত হইতেছে। খনির শ্রমিক, রেলের মজুর, কল কারখানার মজুর, চা-বাগানের কুলি—ইহারা কি আজ সমাজের কতকগুলা নয় শক্তি নয় ? আর ইহারা কি নয়া নয়া সঙ্ঘে দলবদ্ধ হইতেছে না ? নমশুদ্র, অব্রাহ্মণ, অস্পৃশু, পারিয়া ও অপরাপর অনুন্নত নিষ্পেষিত জাতিসমুহও কি আজ আত্মচৈতন্য লাভ করিয়া দাড়াইতেছে না ? এই সব শক্তি সঙ্ঘবদ্ধরূপে মাথা তুলিয়া দাড়াইতে চাহিতেছে। আধুনিক ভারতের ইতিহাসে ইহাই সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ভারতীয় জাতিপুঞ্জে এই সকল বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব স্বীকার করিতেই হইবে । এই সম্প্রদায় গুলা “অনুন্নত” “অশিক্ষিত" হউক বা গুনতিতে “ছোট” হউক তাহাতে কিছু যায় আসে না। তাহদের মধ্যে যে জীবনের প্রবাহ খেলিতেছে—তাহারা যে ইতিমধ্যেই আপন আপন স্বার্থ সম্বন্ধে সজাগ হইয়া উঠিয়াছে, তাহারা ষে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া জোর গলায় তাহদের দাবীর কথা জানাইতেছে—ইহাই রাষ্ট্রনায়কগণের প্রধান দ্রষ্টব্য বিষয়। অনুন্নত-উন্নত, বদ্ধিষ্ঠ-লঘিষ্ঠের কোন কথা না তুলিলেও ক্ষতি নাই।