পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী Հե ծ আটপৌরে আইন-কাকুনের সাহায্যেই এক শ্রেণীর নরনারীর জন্য অন্যান্য শ্রেণীর নর-নারীর স্বাৰ্থত্যাগ মূৰ্ত্তি পাইতেছে। বোলশেভিক রুষিয়ার ধনী ও আভিজাত্য সম্প্রদায়—দেশের প্রজাসাধারণ ও মজুর শ্রেণীর নিকট তাহাদের সকল ক্ষমতা ও সুবিধা ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইয়াছে । ইহা এই শ্রেণীর স্বার্থ ত্যাগ, যদিও ইহা নেহাৎ অভূতপূর্ব প্রণালীতে দেখা দিয়াছে । কৃষক মজুর কারিগর ও সমাজের অন্যান্য নিম্নস্তরের সম্প্রদায় ধনীর এই স্বর্থত্যাগকে সেরূপ কোন ত্যাগ বলিয়া মনে না করিলেও বাস্তবিক পক্ষে ইহা ত্যাগ ছাড়া আর কিছুই নয়। রুশিয়ার কাণ্ডে এই ত্যাগ স্বেচ্ছাপ্রদ নয় পরস্তু বাধ্যতামূলক । বাংলার মোসলমানদের ন্যায্য দাবী মিটাইতে হইলে হিন্দুদিগকে যে আজ ঢের ক্ষতি স্বীকার করিতে হইবে তাহা বলাই বাহুল্য । ইয়েরামেরিকার মজুর ও কিষাণ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও স্বার্থ-সংরক্ষণের জন্ত আজ পর্য্যন্ত যে সকল ফ্যাক্টরি আইন, জমী-জমার আইন ও ব্যাধি-বাৰ্দ্ধক্যদৈব-বীমা-বিষয়ক আইন-কানুন কায়েম হইয়াছে তাহার কোনটাই কোনো না কোনো সম্প্রদায়ের স্বার্থত্যাগ বা ক্ষমতার হস্তান্তর ছাড়া সম্ভবপর হয় নাই ! এই ধরণের ক্ষমতার হস্তান্তর বা সম্প্রদায়গত স্বাৰ্থত্যাগ বর্তমান জগতের অগ্রগামী দেশগুলায় মামুলি আইনের দৌলতে সম্ভবপর হইতেছে। জাৰ্ম্মাণি বিলাত ইত্যাদি দেশ সেরা দৃষ্টান্তস্থল । যে সকল দেশ ও সমাজ আইন প্রণয়ন দ্বারা শান্তিপূর্ণ ও সহজভাবে এইরূপ স্বাৰ্থত্যাগ ও ক্ষমতার হস্তান্তর করিতে কার্পণ্য করিয়াছে—সেইখানেই বিদ্রোহের অস্ত্রোপচার দরকার হইয়াছে। বোলশেভিকদের মূলনীতি আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্যতম লক্ষণ । গোটা ইয়োরামেরিকা যাহা করিতে চায় বেলশেভিকরাও তাহাই চায় । উন্নতিপন্থী অগ্রগামী