পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Abre নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন চিত্তরঞ্জন দিব্য দৃষ্টিতে এই কঠোর বাস্তবকে চিনিতে পারিয়াছিলেন। চিত্তরঞ্জনই সৰ্ব্ব-প্রথম স্বদেশ ও স্বজাতির সমক্ষে বলিতে সাহস পাইয়াছিলেন যে, হিন্দু-মুসলিম সমস্ত খাওয়া-পরার সমস্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি লাভের জন্য মোসলমানের অধিকতর সুযোগ সুবিধা চায় । ইহা তাহাদিগকে দিতে হইবে, না দিলে দেশের স্বার্থ পুষ্ট হইবে না—ইহাই দেশবন্ধু নিভাক কণ্ঠে তাহার দেশবাসীকে জানাইয়াছেন । ইহাই তাহার হিন্দু-মুসলিম প্যাক্টের মূলমন্ত্র । আর্থিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে যাহারা উচ্চস্থান দখল করিয়া সুখে স্বচ্ছন্দে বসবাস করিতেছেন, অন্তের সুবিধার জন্ত র্তাহাদিগকে আজ কিছু কিছু ছাড়িয়া দিতেই হইবে । জমীদার, তালুকদার, কলওয়ালা, মহাজন ও অন্তান্য ধনী সম্প্রদায় হয়ত ইহা শুনিয়া ভাবিবেন যে র্তাহাদিগকে মস্ত বড় একটা স্বার্থ-ত্যাগের কথা বলা হইতেছে । র্তাহারা এটাও মনে করিতে পারেন যে, রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব, সামাজিক শান্তি ও অর্থনৈতিক সমস্তার সমাধান কল্পে এ প্রস্তাবে সম্মত হইলে তাহাদের ত্যাগস্বীকার বাস্তবিকই অত্যধিক । এতদিন যে সকল সুবিধা ও স্বার্থ তাহারা ভোগ করিয়া আসিতেছেন তাহার হস্তান্তরুকে তাহারা খুব বড় উদারতা ও ত্যাগ স্বীকার বলিতে পারেন। কিন্তু অপ্ত পক্ষের লোক অর্থাৎ স্বযোগ-সুবিধা-বিহীন নরনারী ইহার উত্তরে বলিবেন যে, সমাজ ও সংসারে বাচিয়া থাকিবার পক্ষে যাহা না হইলেক্ট নয়, কেবল তাহাই ইহাদের নিকট দাবী করা হইতেছে । এটা স্বাৰ্থ-ত্যাগ হইলেও ভারতের মুখশান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য ইহা নেহাৎ বাঞ্ছনীয়। বর্তমান জগতের ইতিহাসে এই তথাকথিত স্বাৰ্থ-ত্যাগের দৃষ্টান্ত বিরল নহে। এইরূপ স্বাৰ্থত্যাগ, —দলগত, সজাগত, জাতিগত, সম্প্রদায়গত বা শ্রেণীগত স্বাৰ্থত্যাগ কোথাও দেখা দিতেছে বিপ্লবের আকারে । কোথাও কোথাও নেহাৎ