পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি WS)● ○ রাখিয়া রঙ্গমঞ্চে দেখাইতেছি কেবল মাত্র হিন্দু নরনারীর রাষ্ট্রীয় রক্ত-তরঙ্গ । গ্রন্থ-পঞ্জী দেশী-বিদেশী পণ্ডিতেরা যাহা কিছু লিথিয়াছেন তাহা সবই বোধ হয় পড়িয়| দেখিয়াছি । তাহদের আলোচনা-প্রণালীর সঙ্গে অথবা সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিলুক বা না মিলুক প্রায় প্রত্যেককেই বোধ হয় অগ্রজ হিসাবে ইজ্জৎও দিতে ক্রটি করি নাই । তাহাদিগকে “ফুটনেটের” পায়ের গোড়ায় ফেলিয়া না রাখিয়া কেভাবের মালের সঙ্গেই তাহদের নাম গাঁথিয়া রাখতে চেষ্টা করিয়াছি । বিশেষতঃ, বৰ্ত্তমান গ্রন্থ বাংলা ভাষায় রচিত হইতেছে বলিয়া গ্রন্থকারের একটা নতুন রকমের দায়িত্বও আছে। “বাংলা সাহিত্যের" সঙ্গে দেশ বিদেশী পণ্ডিত গণের “অবিস্কৃত" ভারত-তত্ত্বের পরিচয় এক প্রকার নাই বলিলেই চলে । কোলব্রুক, মেইন, জিব লী, সেনার, ফয়, হিল্লেব্ৰাণ্ট, ষ্টাইন ইত্যাদি বিদেশী ইওলজিষ্টদের নাম বাঙ্গালী বাংলা ভাষার সাহায্যে জানিতে পারে না । এমন কি রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকার, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণস্বামী আয়্যাঙ্গার, রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, কাশীপ্রসাদ জয়সওয়াল, প্রমথনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র মজুমদার ইত্যাদি ভারতীয় সুধীর রচনা ও বঙ্গসাহিত্যে অজ্ঞাত । একমাত্র ঐযুক্ত নরেন্দ্রনাথ লাহার অন্যতম ইংরেজি গ্রন্থ ঐযুক্ত কালীপ্রসন্ন দাশ গুপ্ত কর্তৃক “প্রাচীন হিন্দু দণ্ডনীতি” নামে বাংলায় অনূদিত হইয়াছে ( ১৯২৩) । বাঙালী পাঠকগণের সঙ্গে এই সকল এবং অন্তান্ত লেখকের রচনার সংযোগ স্থাপন করা অন্ততম কৰ্ত্তব্য বিবেচনা করিয়ছি :