পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C3o নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন “এন্‌শ্বেণ্ট সোসাইটি” ( বা প্রাচীন সমাজ ) । “স্তাহেবজ” ( বা সহজ ) অবস্থা হইতে মানবজাতি কোন পথে “বাৰ্ব্বার” সভ্যতা অতিক্রম করিয়া *উৎকর্ষের স্তরে আসিয়া ঠেকিয়াছে সেই তথ্যগুলা নির্দেশ করা এই গ্রন্থের উদ্দেশু ! গ্রন্থ ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত হইয়াছিল। মর্গ্যানের প্রথম সিদ্ধান্ত এই যে, মানব-সমাজে এককালে “দলগঅ’ বিবাহ অর্থাৎ অবাধ যোনিসংস্রব প্রচলিত ছিল । এই অবাধ সংস্রবে বিধি-নিষেধ কায়েম হইতে থাকে । ক্রমশ: গেন্‌স বা গোষ্ঠী-প্রথা দেখা দেয়। গোষ্ঠী-নীতি আবিষ্কার করা মর্গ্যানের দ্বিতীয় কীৰ্ত্তি । গোষ্ঠী সমরক্তজ জীবন-কেন্দ্র । এক গোষ্ঠীর ভিতর পরস্পর-বিবাহ নিষিদ্ধ । গোষ্ঠী পরিচালিত হইত প্রথম প্রথম নারীর তরফ হইতে “জননী-বিধি”র নিয়মে। সেই “জননী-বিধি"র গোষ্ঠী আজও চলিতেছে ইরোকোঅ। সমাজে। এই গেল মর্গ্যানের তৃতীয় সিদ্ধান্ত । "নারীর আমল" গোষ্ঠীধৰ্ম্ম হইতে পরে উঠিয়া যায়। তাহার পরিবর্তে দেখা দেয় “পুরুষ-বিধি” এবং পুরুষাধিপত্য । গ্রীক, রোমাণ এবং জাৰ্ম্মাণ সমাজ গুলার প্রাচীনতম স্মৃতিশাস্ত্রে পুরুষ-প্রাধান্যশীল গোষ্ঠীপ্রতিষ্ঠানই দেখিতে পাওয়া যায় । মর্গ্যানের এই আবিষ্কার প্রাচীন ইয়োরোপের ইতিহাস-রচনায় যুগান্তর আনিয়াছে। ( २ ) এই চার সিদ্ধান্ত প্রচার করিয়াই মর্গ্যান আলোচনা খতম করেন নাই । “উৎকর্ষের যুগ সম্বন্ধে অথাৎ যে যুগের ভরা জোয়ারে বর্তমান জগতের “সভ্য” নরনারী বসবাস করিতেছে—সেই স্তরের জীবন-যাত্রাকে ইনি চরম ভাষায় তিরস্কার করিয়াছেন । লাভের লোভই এই যুগের ধনোৎপাদনের গোড়ার কথা,—ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি ছাড়া ধনজীবীরা আর কিছু চিন্তা