পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা "Wり> ভারতীয় সাহিত্য হইতে,—খুটিয়া খুটিয়া প্রত্নতত্ত্বের মালমশলায় “ফিজিঅলজির" দম্ভল লাগাইবার দৃষ্টান্ত বাহির করা কঠিন। এলাহাবাদের মেজর বামনদাস বসু ১৭৫৭ সালের পরবর্তী শতবৎসরের ভারত-কথায় কিছু কিছু দস্তল দিতেছেন । লাজপত রায় জেলে বসিয়া প্রাচীনভারত সম্বন্ধে একখান কেতাব তৈয়ারি করিয়াছেন । বোধ হয় তাহাতেও ঐতিহাসিক দম্ভলের কিছু পরিচয় আছে । আর সেকালের চিস্তাবীর মহাদেওগোবিন্দ রাণাডে মারাঠা-জাতির জীবন-তথ্য আলোচনা করিবার সময় ভারতবাসীর জন্য কিছু কিছু দম্ভল বঁটিয়া গিয়াছেন। আর সেই দম্ভল প্রযোগের প্রয়াস যৎকিঞ্চিৎ দেখিতে পাই রমেশচন্দ্র দত্তের প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার ব্যাখ্যা কার্য্যে। তাহদের মতামতগুলা টেকসই কি না অথবা কতখানি স্বীকার্য্য, সে কথা সম্প্রতি তুলিতেছি না। এই চার লেপকের কোনো রচনাই বাংলা ভাষার গৌরব নয় । সুতরাং ইতিহাস রচনার যেটুকু আংশিক আরম্ভ ভারতে দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার দ্বারা বঙ্গসাহিত্যের শ্রবুদ্ধি সাধিত হয় নাই । কাজেই ঐতিহাসিক তথ্যমুলক, এঙ্গেলস-লাফার্গের রচনাগুলির মতন সাহিত্য তরারি করিবার ক্ষমতা—বাংল। দেশে দেখিতে পাচ না । । “মৃভত্ত্বে” বিশ্ব-সংবাদ এঙ্গেলস-লাফার্গের রচনাবলী—কোনো একদেশের তথ্যে ভরা নয় । মান্ধত rর আমলে যে সকল *সভ্য"-“অসভ্য” জাতি দুনিয়ায় দাগ রাখিয়া গিয়ছে, আর ইতিহাস-পরিচিত নানা যুগে দুনিয়ার নানা মুল্লুকে যে সকল সমগঞ্জ উঠাবসা করিয়া আসিতেছে, অধিকন্তু “স্তাহেবজ,” “বাৰ্ব্বার” ইত্যাদি নামে যে সকল “অসভ্য” জাতি আজ ও জগতের পথে-বিপথে