পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন চলা-ফেরা করিয়া থাকে,—সেই সকল নানা-দেশবাসী, নানারক্তজ নরনারীর জীবন-কথা এই সকল লেখার আলোচ্য। এই ধরণের কেতাব বাঙালীর পক্ষে লিপিবার যোগ্যতা কোথায় ? এই মাত্র বলিয়াছি,—প্রত্যেক বাঙালী মনস্বীকেই দুনিয়ার ভাবনা ভাবিতে হইয়াছে । আসল কথা, এই ভাবনাটা অতি ভাসাবাসা, হাল্কা ও তরল । বিদেশ সম্বন্ধে যত খনি নিরেট জ্ঞান থাকিলে মানুষ সজীব ভাবে বিভিন্ন জাতীয় নরনারীর আশা-হৰ্ষ, মু-কু আলোচনা করিতে অধিকারী হয়, ততখানি জ্ঞান বাংলার জ্ঞানমণ্ডলে ছড়াইয়া পড়ে নাই । ভূদেব বোধ হয় ইস্কুলপাঠ্য কেতাব হিসাবে গ্রীস এবং ইংলণ্ডের ইতিহাস লিখিয়াছিলেন । ইহাতে স্বদেশের প্রতি তাহার কৰ্ত্তব্যজ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়, এই পৰ্য্যন্ত। প্রফুল্লকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত “গ্রীক ও হিন্দু সে যুগের এক তুলনামূলক গ্রন্থ । আজকাল গ্রীকভাষা হইতে রজনীকান্ত গুহ মেগাস্থেনীস এবং সোতক্রাতিসের রচনাবলী বাংলায় আনিয়াছেন । ইংরেজি সাহিত্যের ঐতিহাসিক কথা কিছু কিছু পাওয়া যায় আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের কেতাবে । অধিকন্তু জাপান এবং আমেরিকা সম্বন্ধে দুএক থানা ভ্রমণ-বৃত্তান্তও বাংলায় প্রকাশিত হইয়াছে। বোধ হয় বিদেশী তথ্য লইয়া আলোচনা চালাইবার দৌড় বাংলায় এই তালিকা ছাড়াইয়া বেশী দূর যায় না। অবশু কিছু অত্যুক্তি করা হইল । তাহা ছাড়া বাঙালীর ইংরেজি-সাহিত্যে আছে ভূতত্ত্ববিৎ প্রমথনাথ বহু প্রণীত “সভ্যতার যুগ-পরম্পরা” । যজ্ঞেশ্বর বন্দোপাধ্যায় “বিলাতী ভূমি-স্বত্ব” বিষয়ক গ্রন্থের প্রণেতা। আর সম্প্রতি বহির হইয়াছে রাধাকমল মুখোপাধ্যায়ের হাতে “তুলনামূলক ধন-বিজ্ঞান” এবং “এশিয়ার স্বরাজ-প্রতিষ্ঠান" সম্বন্ধীয় গ্রন্থ । ফ্রান্স বা ইতালি সম্বন্ধে কোনো কথা বাঙালী বাংলাভাষায় জানিতে