পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশ-ফের্ভার অত্যাচার 8}} বেপারী বলিলে বুঝিতে ইষ্টবে পাশাঁদিগকে । কিন্তু পাশাঁরা বিদেশে ভারত-সন্তান নামে পরিচিত কিনা সন্দেহ । অন্তান্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিদেশীদের সঙ্গে “আফিসে” দেখা করেন । অফিসী জীবনের বাহিরে বিদেশী নর-নারীদের ধরণ-ধারণ কিরূপ তাহা দেখিবার সুযোগ প্রায়ই জুটে না । শিল্পপতি, ব্যাঙ্কার, মহাজন, ফ্যাক্টরির মালিক ইত্যাদি শ্রেণীর লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব কায়েম করা কয়জন ভারতীয় বেপারীর পক্ষে ঘটিয়া উঠিয়াছে তাহ হয় ত আঙ্গুল গুণিয়া বলা ষায় । এই শ্রেণীর বিদেশীদের পরিবারে প্রবেশ করা এক প্রকার অসম্ভব ; বড় জোর,—কোনো রেষ্টরাণ্টে বা হোটেলে মধ্যাহ্ন ভোজন বা চা পানের নিমন্ত্রণ ছাড়া মাখামাখির অন্য কোনো সুযোগ নাই । তাহা হঠলে,—ভারত-সন্তান বিদেশের কতখানি দেখিতে পান ? যে হোটেলে বস-বাস করা হয় তাহার ঝি-চাকবাণী হইতেছে বিদেশীসমাজের প্রধান নারী-প্রতিনিধি । রাস্তায় ঘাটে সন্ধ্যাকালে যে সকল বারাঙ্গন ঘুরাফিরা করে তাহারা হয় দ্বিতীয় প্রতিনিধি। অধিকন্তু, সিনেমার এবং নাচঘরের দর্শক-মণ্ডলী বা নট-নট ভারতীয় বেপারীদের পক্ষে বিদেশী-সমাজের অন্য এক বড় সাক্ষী । ( * * ) খাটি পয্যটক বা মোসাফির যাহাবা, তাহারা কোনো শহরে পাচ সাত দিনের বেশী থাকেন না। যাহার যেমন পয়সার জোর তিনি সেইরূপ হোটেলে বা বাড়ীওয়ালীর ঘরে অতিথি হন । মিউজিয়াম দেখিতে যাওয়া কাহার ও কাহারও সপ আছে । তাহারা এই সব দেখিয়া যানও । তবে “সহর দেখা” বলিলে বাগ-বাগিচা, বাড়ী-ঘর ইত্যাদি ভিতর বাহির হইতে যে সব চিজ দেখা দরকার সেই সবের অনেকগুলা দেখা হইয়া