পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8)* নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন যায় । বিদেশী লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলিবার সুযোগ সাধারণতঃ প্রায়ই জুটে না । কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব কায়েম করা ত অসম্ভব বটেই । বিদেশের বড় বড় সহরে আজকাল চ’চার জন ভারতীয় নর-নারী প্রায়ই স্থায়ী বা কথঞ্চিৎ স্থায়িভাবে বস-বাস করেন । র্তাহাদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করা অনেক ভারতীয় পৰ্য্যটকের এবং বেপারীর পক্ষে সম্ভব । তাহাতে আগন্তুকদের সাহায্যও কিছু কিছু হয় । কিন্তু তাহাতে মোটের উপর ভারতীয় "আবহাওয়া”ষ্ট গুলজার । আজকাল আবার সর্বত্রই ছোট বড় “ভারতীয় সমিতি” প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । নামজাদা ভারতীয় পৰ্য্যটক বা বেপারী কোথাও উপস্থিত হইলে তাহাদিগকে এই সমিতির তরফ হইতে অভ্যর্থনা করা হয় । কখনো কখনো এই সকল সমিতির মারফৎ দু’চারজন বিদেশী-বিদেশিনীর সঙ্গে তাহাদের করমর্দন ও বাক্য-বিনিময় করা ঘটিয়া উঠে । { ১৩ ) তবে এই করমর্দন ও বাক্য-বিনিময়ের সময় ভারতীয় বেপারী ও পৰ্য্যটকের বিদেশী-বিদেশিনীদের নিকট দেশের ইজ্জৎ নষ্ট করিয়া ছাড়েন। যে কোনো বিদেশীকে অদ্বিতীয় পীর বিবেচনা করা ভারতসন্তানের স্বভাব । বিদেশীদের সঙ্গে ঘাড় থাড়া করিয়া কথা বলিতে আমাদের অধিকাংশই অসমর্থ। আমাদের নীচাশয়তা এবং গোলামচরিত্র দেখিয়া বিদেশীরা আমাদের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অতি নীচু ধারণা পোষণ করিতে শিথিয়াছেন । এ সংবাদটা যুবক ভারতের মহলে মহলে প্রচারিত হওয়া আবণ্ঠক । বিদেশীদের ভিতর র্যাহারা সত্য সত্যই নামজাদা বা কৃতিত্বশীল লোক