পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3)br নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ইত্যাদি—ইত্যাদি । যুবক ভারত যে যুবক ছনিয়ার যে-কোনো জাতের সমকক্ষ তাহা বুঝিতে বিশ্ববাসীর আর বাকী নাই । ইহার দ্বারা বুঝা গেল কি ? এই যে,—যে-সকল ভারত-সন্তান কোনোদিন বিদেশে যাইয়া বিদেশী-বিদেশিনীদের সঙ্গে টক্কর দিবার সুযোগ পায় নাই, তাহারাও প্রকারাস্তরে বিশ্বশক্তির কৰ্ম্মক্ষেত্রে কোনো হিসাবে পশ্চাদপদ নয়। প্রায় যে-কোনো ভারত-সন্তানের মাথা, যেকোনো বিশ্ববাসীর মাথার সমান,—অবশ্ব উত্তম, মধ্যম, অধম ইত্যাদি শ্রেণী-বিভাগ মনে রাখিতে হইবে । কিন্তু ইহার দ্বারা এইরূপ প্রমাণিত হয় কি , যে,-বিদেশ-ফের্তা ছাত্রের স্বদেশে শিক্ষাপ্রাপ্ত বিদ্বানদের চেয়ে উচু ? কখনই নয় । বিদেশ-ফের্তারা যুবক-ভারতের প্রতিনিধিরূপে বিদেশে থাকিবার সময় স্বদেশের ইজ্জৎ বাড়াইয়াছেন সন্দেহ নাই। কিন্তু একমাত্র তাহার জোরে যুবক-ভারতের অন্তান্ত লোক হইতে তাহারা উন্নততর মাথার পরিচয় দিয়াছেন এরূপ বলা চলিবে না | র্যাহারা ছাত্র হিসাবে বিদেশে গিয়া বিদেশ হইতে ডিগ্ৰী লইয়া ফিরিয়াছেন, তাহাদের কথাই এখানে বলা হইতেছে । ( לנ ) মাথার ভিতরকার “দ্বী" বা মগজটা মাপা সোজা কথা নয়। প্রথমতঃ, আমরা যাহাকে বিদ্যা বলি তাহার অধিকাংশই মেহনত । আসল মগজের বা ঘাঁর হিস্তা বিদ্যার মুল্লুকে বেশী নয় । দ্বিতীয়তঃ,—বিদ্যার সংখ্যা অগণিত। অার প্রত্যেক বিদ্যারই শাখা-প্রশাখা অজস্র। এইগুলার ভিতর কোনটায় কতখানি মেহনত লাগে আর কোনটায় কতখানি মগজ লাগে, তাহ বিশ্লেষণ করিতে হইলে