পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশ-ফেৰ্ত্তার অত্যাচার S)సా পৰ্ব্বত-প্রমাণ বিদ্যায় দখল থাকা চাই । বলা বাহুল্য, সেই দখল এই লেখকের কেন ?—কোনো ব্যক্তিবিশেষরই নাই । তবে যে-যে বিষয়ে কোনো জ্ঞান নাই তাহার কোনো কোনটা সম্বন্ধে ওস্তাদদের মতামত জি জ্ঞাসা করিয়া দেখিয়াছি । এমন কতক গুলা বিদ্যা ও বিদ্যার শাখা-প্রশাখা আছে, যে সম্বন্ধে ভারতে উচ্চ শিক্ষার বা এমন কি মামুলি শিক্ষারত আয়োজন নাই । এইগুলার যে-যেটা ভারতীয় বিদেশফের্কার বিদেশে থাকিবার সময় শিখিয়া গিয়াছেন সেই সকল বিষয়ে তাহারা অন্যগু ভারত-সন্তানদের চেয়ে শ্ৰেষ্ঠ,—বলাই বাহুল্য। নতুনের ইজ্জত আছেই আছে । কিন্তু আসল প্রশ্ন বৰ্ত্তমান ক্ষেএে অন্তরূপ। যে-ধে বিদ্যা বা বিদ্যার শাখা ভারতে শিখা সম্ভব সেই সকল বিষয়ে বিদেশ-ফের্ভার অন্তান্ত ভারতীয় বিদ্বানকে হার:ইতে সমর্থ হইয়াছেন কি ? এই সম্বন্ধেক প্রথমে বলিয়া রাখিয়াছি,—হন নাই । গণিত, পদার্থ-বিজ্ঞান, বসায়ন, ভূতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব, ভাষা-বিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব, দর্শন, ইতিহাস, শিল্প-শাস্ত্র হত্যাদি নানা বিষয়ে ভারতীয় বিদ্বানেরা আজকাল গবেষণা করিতেছেন, প্রবন্ধ ছাপিতেছেন, বই লিখিতেছেন । এই সকল গবেষণা, অমুসন্ধান, “রিসার্চ” এবং ছাপাছপি কাণ্ডে বিদেশ-ফের্ভার অন্যান্তদের চেয়ে উচ্চতর শ্রেণীর লোক নন। হিসাব করিয়া দেখিলেই বুঝা যাইবে যে,—স্বদেশে বসিয়াই ভারতীয় বিদ্বানের দেশে-বিদেশে যাহা কিছু চাপিয়াছেন তাহার তুলনায় বিদেশ “ডিগ্ৰীওয়ালা"দের কাজকৰ্ম্ম অতি-কিছু নয়। বিদেশ-ফের্তা ছাত্রদিগকে মাথায় করিয়া নাচিতে থাকিলে যুবক-ভারত নিজকে বেআকুব সপ্রমাণ করিয়া ছাড়িবে মাত্র । ব্যতিরেক গুলার কথা বলিতেছি না।