পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W3 নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন রক্তমাংসের হাত-পার প্রমাণের সাহায্যে বুঝিয়া উঠিতে গলদঘৰ্ম্ম হইতে হুইবে না । ১৯১৪-১৮ সনের লড়াইয়ের আওতায় ভাবুকেরা ভাবিতেছিলেন, “বার বার এইবার। ইয়োরামেরিকার সভ্যতাকে বাচাইবার আর কোনো উপায় নাই। পাশ্চাত্য নরনারী এ যাত্রায় মরিবেই মরিবে।” কিন্তু ১৯১৯-২০ সনের পুনর্গঠনে ইয়োরামেরিকার অবস্থা কিরূপ দেখিতেছি ? পাশ্চাত্য সভ্যতা এক অপূৰ্ব্ব নবযৌবনের পরশে চাঙ্গ হইয়া উঠিয়াছে। তাহার ফলে যে নবীন জীবন-যাত্রার স্বত্রপাত হইতেছে, তাহকে এক বিরাট যুগান্তরের প্রাথমিক ভিত্তি মাত্র বিবেচনা করিতে প্রবৃত্তি হইতেছে । তাহার তুলনায় উনবিংশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান সবই ছেলেথেল ছাড়া আর কিছু নয়। ইয়োরামেরিকার মানুষ বিংশ শতাব্দীর বিশ্ববাসীকে এক অভিনব দুনিয়া উপহার দিবার ক্ষমতা দেখাইতেছে। তাহাদের জ্যান্ত হাত-পার জোরে এই যে নবীন জগৎ গড়িয়া উঠিতেছে তাহার আধ্যাত্মিকতা বুঝিবার পর্য্যন্ত ক্ষমতা আজকালকার এশিয়াবাসীর আছে কিনা সন্দেহ । বর্তমানের ভারতীয় মগজের পক্ষে ১৯১৯-২০ সনের ইয়োরমেরিকান জীবনবত্তা সমবিয়া উঠা বড় সহজ কথা নয়। বাড়তির পথে দুনিয়া দফায় দফায় খুটিয়া খুটিয়া এই আধ্যাত্মিকতার, এই নবীন জীবনবত্তার কয়েকটা বাস্তব লক্ষণ দেখাইতেছি । মামুলি চোখ কানের সাহায্যেই মালুম হইবে যে সত্যসত্যই ইয়োরামেরিকা মরে নাই। বরং ইয়োরামেরিকাই গোটা দুনিয়াকে বাচাইয়া রাখিয়া জগদবাসীর জীবনস্পন্ন বাড়াইয়া তুলিবার নানা কৌশল আবিষ্কার করিয়াছে। আর এই সকল আবিষ্কারে এশিয়ার নরনারী স্বাধীনভাবে হিস্তা লইবার অধিকারী