পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তুনিয়ার সূত্রপাত 속 হইতে পারিলেই তাহারাও ”বাপের বেট” বলিয়া পরিচিত হইবার দাবী চালাইতে সমর্থ হইবে । ১৮৭৯ সনের সমসমকালে ইয়োরামেরিকার সর্বত্র এবং জাপানেও সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষার ব্যবস্থাকে অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক করা হয় । সেই আইন ভারতে আজ ১৯২৫ সনেও ষোলকলায় কায়েম হয় নাই । মাত্র কোনো কোনো নগরের কোনো কোনো মহাল্লায় নিধনদের জন্ত অবৈতনিক শিক্ষাপ্রদানের ব্যবস্থা হইতে পরিবে, এইরূপ আইন জারি হইয়াছে। কিন্তু এই আইন-মাফিক কাজ এখনো বেশীদূর অগ্রসর হয় নাই । ১৯১৯-২০ সনের ইয়োরামেরিকা এই কৰ্ম্মক্ষেত্রে কতদূর উঠিয়াছে ? পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ৪০ ৫০ বৎসর ধরিয়া আইনটা খাটিত মাত্র চোদ্দ বৎসর বয়সের বালক-বালিকাদের জীবনযাত্রা সম্বন্ধে । কিন্তু বিগত সাত বৎসর ধরিয়া ইয়োরোপের কোনো কোনো দেশে আঠার বৎসর পর্য্যস্ত বয়সের প্রত্যেক তরুণ-তরুণী এই বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষণ-পদ্ধতির অধীন হইয়া পড়িয়াছে। আঠার বৎসর বয়স,—এই বস্তুর অর্থ কি ? সেকালে আমরা এই বয়সে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি. এ. পাশ করিতে পারিতাম । আজকালকার নিয়মে অন্ততঃ পক্ষে ইণ্টারমীডিয়েট পাশ করা সম্ভব । বুঝিতে হইবে যে, ১৯১৯-২০ সনের আইন অনুসারে পশ্চিমের অগ্রগামী দেশে আঠার বৎসর বয়স্ক প্রত্যেক লোকই ভারতীয় মাপের ইন্টারমীডিয়েট বা বি. এ. বি. এস.সি. উপাধিধারীর সমান হইতে চলিল। ঝাড় দ্বার, ভিস্তী, মুটে, কেহই আর ঐ সকল সমাজে ইণ্টামডিয়েটের কম বিদ্যাওয়ালা লোক থাকিতে পারিবে না। ব্যাঙ্ক, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি সকল কৰ্ম্মকেন্দ্রই আঠার বৎসর পর্য্যন্ত বয়সের প্রত্যেক কৰ্ম্মচারী ও মজুরকে বিনা পয়সায় শিক্ষা প্রদান করিতে বাধ্য।