পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাঙ্ক-গঠন ও দেশোন্নতি ఏ বুঝিতে হইবে সে দেশে আধুনিক ঢঙের ধনসম্পদ নাই। নব্য বনিয়াদের উপর তাহার ভিত্তি নয়। ব্যাঙ্ক "একালের” ধন-সম্পদের ভিত্তি । দ্বিতীয়তঃ, ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠান একটা যন্ত্রবিশেষ,—দেশের ধনদৌলত জরীপ করিবার, আর্থিক জীবন মাপিবার যন্ত্র । একটা জাতের অধিক দৌড় কতদূর, তাহা তাহার ব্যাঙ্কগুলার একতলা বাড়ী কি দোতলা বাড়ী, সেখানে ৫০০ লোক খাটে কি পাচহাজার লোক খাটে, সেই সবের শাখা অফিস কতগুলি—এই সব দেখিলেই বলিয়া দেওয়া যাইতে পারে। কাজেই দেশটা বড় কি ছোট তাহার একটা বড় সাক্ষী হইতেছে ব্যাঙ্কের আকার-প্রকার । এক জায়গার চেয়ে আর এক জায়গা কত বেশী গরম তাহা যেমন থামে মেটার যন্ত্র বলিয়া দেয়, তেমি এদেশটা ওদেশের চেয়ে কত বড় বা কত ছোট তাহা এই ব্যাঙ্ক-যন্ত্রের মাপজোকে আমরা সহজেই বুঝিয়া লইতে পারি। তৃতীয়তঃ, একটা গুরুতর কথা ব্যাঙ্ক-প্রতিষ্ঠানে ধরা পড়ে । যে জাত ব্যাঙ্ক চালাইতে জানে না, সেটা নেহাৎ অপদার্থ। যে জাতের তাবে একটা ব্যাঙ্কও নাই, তাহাকে শুধু দরিদ্র বলিতে হইবে না, সঙ্গে সঙ্গে বলিতে হইবে তাহার চরিত্র অতি ঘৃণ্য, সভ্যসমাজে তাহার নামোল্লেখ করা যায় না । নরনারীর জীবনীশক্তি মাপিবার যন্ত্র হইতেছে ব্যাঙ্ক । জাতীয় চরিত্র, নৈতিক জীবন, আধ্যাত্মিকতা–এসব মাপিবার, বুঝিবার বিপুল যন্ত্র ব্যাঙ্ক । যাহারা কতকগুলা বিশেষ্য বিশেষণ কায়েম করিয়া কোনো জাতি সম্বন্ধে বা তাহার চরিত্র সম্বন্ধে মতামত জাহির করিতে অভ্যস্ত, তাহারা একটা মস্ত দোষ করিয়া ফেলেন। কারণ, বস্তুনিষ্ঠ ভাবে জাতিকে, জাতির জীবনকে, তাহার নৈতিক চরিত্র প্রভূতিকে বুঝিবার জন্য র্তাহার কোনো বিশেষ মাপকাঠি ব্যবহার করেন না। র্তাহাদিগকে বলিতে চাই