নরওয়ে ভ্রমণ ৬৭ পোষাক পরিত, এখনও ঠিক সেই মতই পরিয়া থাকে,—কোন ব্যতিক্রম ঘটে নাই। তখন এত বড় একটা রাজধানীর বাহার ছাড়িয়া ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র একটি দ্বীপের দিকে মনটা যেন ঝুকিয়া পড়িল। যেন আর তর সয় না। কিন্তু সে জায়গায় উপস্থিত হইবার ব্যবস্থা বড় সোজা নয়। প্রথমে কতকদূর একটা গ্রামের মধ্য দিয়া হাঁটিয়া চলিলাম; অনেক গলিখুঁজি বলিয়া সেখান দিয়া গাড়ী চলে না। তা বেশ। অনেক দিন পরে গ্রামা-শোভা মন্দ লাগে নাই। পল্লীবাসীর। সকলেই আপন আপন কাজে ব্যস্ত ছিল, আমাদের এত লোকের পায়ের শব্দ শুনিয়া, যে যার কাজ ফেলিয়া, ঘরের বাহিরে আসিয়া, দাড়াইতেই এই অদৃষ্টপূর্বব জীব কয়েকটির প্রতি তাহার এমন ভাবে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে লাগিল, যেন “শেষেন্দ্রিয়বৃত্তিরাসাং সর্বাত্মনা চক্ষুরিব প্রবিষ্টা।” কয়েকজন ত আমাদের সঙ্গই নিল,—কি জানি যদি আর এমন দ্বিপদ } “ফ্রেডরিকস্বর্গ সুই-রিডলালেন জন্তু এজন্মে না দেখে? আমরা কিন্তু এদের দিকে তত নজর করিয়া দেখিতে পারি নাই। বাপরে! কলিকাতার বড়বাজারের গলি এর কাছে লাগে কোথায়? এত