পাতা:নানাচর্চা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভারত ও গীতা GSpe এ-কাব্যে ছিল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ ও যুদ্ধজয়ের কথা ; সুতরাং যুদ্ধ-জয়ের পরবত্তী কোন বিষয়ের বর্ণনা বা আলোচনা এতে ছিল না। মহাভারতের টীকাকার নীলকণ্ঠ বলেছেন যে, মহাভারত হচ্ছে যুদ্ধপ্রধান গ্ৰন্থ, এবং ও-কাব্যের প্রধান বিষয় যা, তা শেষ হয়েছে সৌপ্তিক পর্বে। এ কথা যে সত্য, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। যুদ্ধ করবার লোক না থাকলে আর যুদ্ধ করা যায় না। আর সৌপ্তিক পর্বের শেষে দেখতে পাই যে, অশ্বথামা মুমূর্ষু দুৰ্য্যোধনকে বলেছেন যে, উভয়পক্ষের সকল যোদ্ধা নিহত হয়েছে; অবশিষ্ট আছে শুধু কৌরব-পক্ষের তিনজন-কৃপাচাৰ্য্য, কৃতবৰ্ম্মা ও স্বয়ং অশ্বথামা । অপরপক্ষে পাণ্ডবদের ভিতর অবশিষ্ট আছে সাতজন-পঞ্চপাণ্ডব, সাত্যকী ও কৃষ্ণ । এ কথা বলেই অশ্বথামা চলে গেলেন মহৰ্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়নের আশ্রমে, কৃতবৰ্ম্ম স্বরাষ্ট্রে, ও কৃপাচাৰ্য্য হস্তিনাপুরে । এইখানেই ভারত নাটকের যবনিক পতন হয়েছে। এর পর মহাভারতে যা আছে, সে হচ্ছে যুদ্ধের নয়, শান্তির কথা । বৰ্ত্তমান N&s: V &ty (WCS War and Peace it is a stry fr’s মূল ভারত ছিল, Iliad-এর মত শুধু যুদ্ধ-কাব্য। কাব্যকে আমরা ফুল বলি। এ হিসেবে সৌপ্তিক-পৰ্ব্বকেই আমরা ভারত কাব্যের শেষ পৰ্ব্ব বলে স্বীকার করতে বাধ্য। আদিপর্বে আছে যে, মহাভারত নামক মহাবৃক্ষের সৌপ্তিক পৰ্ব্ব হচ্ছে—প্রসুন, আর শান্তিপৰ্ব্ব-মহাফল। ফুল যখন ফলে পরিণত হয়, তখনই তা কাব্যের বহির্ভূত হয়ে পড়ে। আমার এ অনুমান যদি সত্য হয়, তাহলে এই “উত্তরভারতে” কোন শ্লোক প্ৰক্ষিপ্ত আর কোন শ্লোক নয়, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই, কারণ ও-গ্ৰন্থ- আগাগোড়াই প্ৰক্ষিপ্ত। প্ৰক্ষিপ্ত অংশের সন্ধান করতে