পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

kšni Jes (śā ۔ ---- نظ * - . היא י "? && " 'i' Ši. তার পর, শিল্পবাণিজ্যের পক্ষে যুদ্ধের ন্যায়ক্ষত্বিৰ আর নেই। যুদ্ধ যে মানুষের সকল কাজকৰ্ম্ম, সকল বেচাকেন। একদিনেই বন্ধ করে দেয়, তার প্রমাণ ত আজ হাতে হাতেই পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং, যুদ্ধ জিনিষটি ইউরোপীয়দের স্বার্থের বিরোধী। আর এক কথা, হার্বার্টস্পেনসরপ্রমুখ দার্শনিকের আশা করেছিলেন যে, বৰ্ত্তমান ইউরোপের বৈশ্যসভ্যতা পৃথিবীতে চিরশান্তি স্থাপন করবে। তঁদের বিশ্বাস ছিল যে, বাণিজ্যের যোগসূত্র পৃথিবীর সকল জাতির সখ্যসূত্রে পরিণত হবে। এই অন্নবস্ত্রের অবাধ আদান-প্ৰদানের ফলে প্ৰতি জাতির কাছেই বসুধা কুটুম্ব হয়ে উঠবে। এই কারণে এই শ্রেণীর দার্শনিকদের মতে ক্ষত্ৰিয় যুগের অপেক্ষা বৈশ্যযুগের সভ্যতা মানব-ইতিহাসের উন্নত স্তরের সভ্যতা। হাৰ্বার্টস্পেনসারের এই আশা যে, কবিকল্পনা ব্যতীত আর কিছুই নয়, তার প্রমাণ আজ পাওয়া যাচ্ছে। আজ দেখা যাচ্ছে যে, আগে যেমন রাজ্য নিয়ে রাজায় রাজায় লড়াই করত, আজ তেমনি বাণিজ্য নিয়ে জাতিতে জাতিতে লড়াই করছে এবং এ লড়াই অতি ভীষণ এবং অতি নিষ্ঠর। কারণ আগে মানুষ হাতে যুদ্ধ করত, এখন কলে যুদ্ধ করে এই কারণেই বৰ্ত্তমান যুদ্ধ নিতান্ত অমানুষী ব্যাপার, কেনন বাহুবলের ভিতর মনুষ্যত্ব আছে কিন্তু যন্ত্রবলের ভিতর নেই কিন্তু এ সত্বেও একথা সত্য যে, বৈশ্যসভ্যতা যুদ্ধের অনুকুল নয়, কেননা যুদ্ধ বৈশ্যধৰ্ম্মের প্রকৃতিবিরুদ্ধ। ” ( . ) . . . . . ইংলণ্ড এবং ফ্রান্স যে আত্মরক্ষা ব্যতীত অপর কোনও কারণে যুদ্ধ করাটা অকৰ্ত্তব্য, মনে করে সে বিষয়ে সন্দেহ । RR