পাতা:নানা-কথা - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y& নানা-কথা। করেছিলেন। বিস্মার্ক অষ্টিয়াকে পরাভূত করে উত্তর-জার্মানীর এবং ফ্ৰান্সকে পরাভূত করে দক্ষিণ-জৰ্ম্মানীর যোগসাধন করেন। বিসমার্ক বলতেন যে, রক্ত ও লৌহের রসান দিয়ে তিনি ভাঙ্গা জৰ্ম্মানীকে যোড়া দিয়েছেন। সুতরাং যুদ্ধের দ্বারা যে রাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে, যুদ্ধের দ্বারাই তার রক্ষা এবং যুদ্ধের দ্বারাই তার উন্নতি সাধন করতে হবে-এই হচ্ছে নবজাৰ্ম্মানীর দৃঢ়ধারণা। যুদ্ধকাৰ্য অপ্রিয় হলেও আত্মরক্ষার্থ যে তা করা কীৰ্ত্তব্য এ বিষয়ে ইংরাজ ফরাসী প্রভৃতি ইউরোপের অগ্রগণ্য জাতির মধ্যে কোনও মতভেদ নেই। জাৰ্ম্মানদের সঙ্গে আর-সকলের প্রভেদ এইখানে যে, জৰ্ম্মানীর কর্তৃপক্ষদের মতে জাতীয় উন্নতির পথ পরিষ্কার করবারও একমাত্র উপায় হচ্ছে তরবারি। জৰ্ম্মানীর যোদ্ধাদলের মুখপাত্র জেনারেল বেয়ারণহাডি অতি স্পষ্টাক্ষরে দুনিয়ার লোককে, জৰ্ম্মান রাষ্ট্রনীতির মূল কথা জানিয়ে দিয়েছেন । সে কথা এই :-“জৰ্ম্মানজাতি গত ত্রিশ চল্লিশ বৎসরের মধ্যে শিল্পবাণিজ্যে যে অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, তার থেকেই প্রমাণ হয় যে, কি বাহুবলে, কি বুদ্ধিবলে সে জাতির সমকক্ষ দ্বিতীয় জাতি পৃথিবীতে নেই। জৰ্ম্মানীর শ্ৰীবৃদ্ধি তার বাণিজ্যবিস্তারের উপর নির্ভর করে। যদিচ ভবের হাটে কেনাবেচার জন্য জাৰ্ম্মানজাতিই হচ্ছে জ্যেষ্ঠ অধিকারী তবুও এ ক্ষেত্রে সকলের শেষে উপস্থিত হওয়ার দরুণ সে আজ সর্বকনিষ্ঠ, কেননা পৃথিবীর সকল হাটবাজার আজ অপরের সম্পত্তি । পরের হাটে কেনাবেচা করার অর্থ পরভাগ্যোপজীবী হওয়া; সুতরাং এ পৃথিবীতে আত্মপ্রতিষ্ঠা করবার জন্য জৰ্ম্মানী অপরের সম্পত্তি জোর করে কেড়ে নিতে । বাধ্য। যুদ্ধ ব্যতীত অপর কোন উপায়ে জৰ্ম্মানীর পক্ষে তার